খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬: বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতরের পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ও অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সেন্টমার্টিনে আটকা ২ শতাধিক পর্যটক
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে।
উপকূলে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত বলবৎ থাকায় টেকনাফ-সেন্টমাটিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি নুর আহমদ জানান, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক বিভিন্ন হোটেল ও কটেজে আটকা পড়েছে।
বিশেষ করে সেন্টমার্টিনের হোটেল ব্লু মেরিন, মুদ্র কুঠির, সেন্ডশোর, সীমানা পেরিয়েসহ বিভিন্ন হোটেলে আটকা পড়ারা অবস্থান করছেন বলে তিনি জানান।
এ রুটের পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের পরিচালক আব্দুল আজিজ জানান, ৩ নম্বর সর্তক সংকেত ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় মঙ্গলবার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সর্তক সংকেতের কারণে জাহাজ যেতে পারেনি। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে তাদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।