খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬: টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে নিহত দুই জঙ্গির মধ্যে একজন নওগাঁর রানীনগরের আহসান হাবিব শুভ।
মঙ্গলবার রাতে আলতাফ হোসেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে ছেলে শুভর লাশ শনাক্ত করেন বলে নওগাঁ পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান।
২০১৫ সালে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন শুভ। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে বলে জানান পুলিশ সুপার।
শুভ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৭ মে থেকে শুভ পরিবারে সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গুলশান হামলায় নিখোঁজ তরুণদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর গত ৭ জুলাই শুভর সন্ধান চেয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা।
শুভর খালু সানোয়ার হোসেন বলেন, বাবা-মার একমাত্র ছেলে শুভ। সে নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে মাধ্যমিক, নওগাঁ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়।
“সেখানে সে জামায়াত–শিবিরের রাজনীতির পাশাপাশি জঙ্গি তৎপড়তায় জড়িয়ে পড়ে।”
শুভর চাচা মো. শরীফ হোসেন রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, “বড় ভাই আলতাফ হোসেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নওগাঁ কোর্টের মুহুরী (মোহরার)। শুভ খুব মেধাবী ছিল। আমরা কখনও জানতে পারিনি যে সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।”
শুভর লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন চাচা সানোয়ার।
শনিবার টাঙ্গাইলের শহরের কাগমারা মির্জামাঠ এলাকায় র্যাবের অভিযানে দুজন নিহত হয়। তখন র্যাবের পক্ষ থেকে তাদের রাজশাহীর চারঘাটের লতিফুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান ও জোনায়েদ হোসেনের ছেলে সাগর হোসাইন বলেও জানানো হলেও সেখানে এ নামের কাউকে পাওয়া যায় না।
পরে মঙ্গলবার রাতে র্যাব থেকে শুভর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশের কাছ থেকে শুভর লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা আলতাফ হোসেন।
টাঙ্গাইল মডেল থানা ওসি নাজমুল হক ভুইয়া জানান, হস্তান্তর কপিতে স্বাক্ষর করে লাশ বুঝে নিয়েছেন তিনি।