Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬:  ক্রুদের বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে এক মামলায় যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর পরিবারের মালিকানাধীন একটি অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী জাহাজ) আটকের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

‘এমটি ফজলে রাব্বী’ নামের ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন জুয়েল রহমানের করা মামলা আমলে নিয়ে হাই কোর্টের অ্যাডমিরালটি একক বেঞ্চের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এটি আটকের নির্দেশ দেন। গত ১০ অক্টোবর করা এই মামলায় ক্যাপ্টেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে জাহাজটিতে কর্মরত ১৮ ক্রুর ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেতন-ভাতা বকেয়ার কথা বলা হয়।

জুয়েল রহমান বৃহস্পতিবার বলেন, ওই দিনই শুনানি শেষে বিচারক জাহাজটি আটক করতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২১ নভেম্বর জাহাজের মালিকপক্ষকে হাজির হতে বলেছে। মীর কাসেমের ছেলে সালমান বিন কাসেম পরিচালিত ‘এডেন লাইন লিমিটেড’র মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে চট্টগ্রামের ড্রাই ডক জেটিতে রয়েছে।

মামলার বাদী জুয়েল রহমান বলেন, অয়েল ট্যাংকারটিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত ক্রুরা চুক্তিভিত্তিক মাসিক বেতনে চাকরিতে ঢোকেন। জাহাজটি চালু থাকার পরেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ জনের বকেয়া বেতনের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে কারও পাঁচ মাস, কারও আট মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে।

বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন সময়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো ফল না পেয়ে অ্যাডমিরালিটি আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান তিনি। জাহাজটি আটকের নির্দেশের অনুলিপি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ক্যাপ্টেন জুয়েল।

গত জুন পর্যন্ত এমটি ফজলে রাব্বীতে কাজ করা থার্ড ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ পাল বলেন, চুক্তি ভিত্তিতে আট মাস কাজ করার পর পুরো বেতনের সাড়ে ১৫ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। জুন মাসে জাহাজটি অপারেশনে থাকলেও মালিকপক্ষ আমাদের বেতন পরিশোধ করেনি। বিভিন্ন সময়ে কাজ করা অনেক ক্রুর বেতন বকেয়া রয়েছে এবং তারা বেতন চাইতে বারবার গিয়ে বিফল হয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদ সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারে অবস্থিত এডেন লাইন লিমিটেডের অফিস বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে গত ৩ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মীর কাসেম ছিলেন ইবনে সিনা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য। দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশনের মালিকানা প্রতিষ্ঠান দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনেরও চেয়ারম্যান ছিলেন মীর কাসেম।