Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

indexখোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬ :দুই বিচারককে হত্যার দায়ে দশ বছর পর জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি আজ রাতে (রোববার) কার্যকর করা হবে। একই মামলায় আগে ৬ জনের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে।

খুলনার কেন্দ্রীয় কারাগার সুপার কামরুল ইসলাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টায় আসাদুলের ফাঁসি কার্যকর করা হবে। এ জন্য খুলনা কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আজ আরিফের স্ত্রীসহ পরিবারের ১২ সদস্য শেষ বারের মতো তার সাথে কারাগারে সাক্ষাৎ করে। জেএমবি নেতা আসাদুলের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। সে ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছে।
জেল কোড অনুযায়ী জেলা প্রশাসক অথবা তার প্রতিনিধি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জনসহ আইন শৃংখলা বহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক-এর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এ ছয় জেএমবি নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বোমা হামলাকারী ইফতেখার হোসেন মামুন, জেলা জজ আদালতের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মান্নান ও দুধ বিক্রেতা বাদশা মিয়া আহত হন।
২০০৬ সালের ২৯ মে এ হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ আসাদুলসহ ৭ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।
এই মামলায় মুত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আসাদুল ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর তিনি আপিল করেন। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন।
জেএমবি ১৭ আগস্ট, ২০০৫ একই সাথে সারাদেশের ৬৪ জেরায় দেশে তৈরী হাত বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়।
২০০৪ সালের ১০ মে খুলনা কারাগারে সর্বশেষ কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের ফাঁসি হয়েছিলো।