খোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ১৮অক্টোবর, ২০১৬: মানি লন্ডারিং মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে কারাদ- ও জরিমানা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। বহুল আলোচিত এ মামলায় গত ২১ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে দেওয়া রায়ের ৮২ পৃষ্ঠার অনুলিপি গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
হাইকোর্ট তার রায়ে নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছর কারাদ- ও ২০ কোটি টাকা অর্থদ- দেন। অন্যদিকে মামুনের সাত বছর কারাদ- বহাল রেখে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকার অর্থদ- কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করেন। ঘুষ হিসেবে আদায়ের পর ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলার রায়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেককে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। আর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া হয়েছিল সাত বছর কারাদ- এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা।
গতকাল রায় প্রকাশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, এখন হাইকোর্টের রায় বিচারিক আদালতে যাবে। বিচারিক আদালত সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে, রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারককে ‘প্রভাবিত করে’ বিএনপি নেতা তারেক নিম্ন আদালতে খালাস পেয়েছিলেন। হাইকোর্ট ন্যায়বিচার করেছেন।
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আছেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টাসহ দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বড় ভাই সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে মামুন কারাগারে আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোও মানি লন্ডারিংয়ের আরেকটি মামলায় দ-িত হয়েছিলেন। কারাদ-াদেশ মাথায় নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় গত বছর তার মৃত্যু হয়।