খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬:কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার নওদাপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরী বাহিনীর (বিএসএফ) ছোড়া গুলি ও ককটেল হামলায় ৪ বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ওই সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফ উভয়প টহল জোরদার করে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহ আলম জানান, নওদাপাড়া সীমান্তে নওদাপাড়া গ্রামের ১২/১৩ জন যুবক গত সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৬৩ ও ১০৬৪-এর মাঝামাঝি নোম্যান্স ল্যান্ডে যায় ভারতীয়দের পাচার করা গরু আনতে। এ সময় ভারতের কুচনিমারী বিএসএফ ক্যাম্পের জোয়ানরা তাদের ল্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলে আহত হন আনোয়ার হোসেনের পুত্র সাজু মিয়া (১৮), রেজাউল করিমের পুত্র রোকন উদ্দিন (২২), ফলুয়া করিমের পুত্র বাবলু মিয়া (২০) ও রুপচান্দের পুত্র মানিক (১৭)। আইনি জটিলতা এড়াতে সঙ্গীরা তাদের উদ্ধার করে গোপনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে গুলিবিদ্ধ রোকনের পিতা রেজাউল করিম স্বীকার করেন, তার পুত্র বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে এখন রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এর বেশি জানাতে রাজি হননি। রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সালু জানান, কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিশেষ ধরনের মই বানিয়ে গরুকে বেঁধে ভারতীয় পাচারকারীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশি চোরাকারবারীরা ওই গরু রিসিভ করে নিয়ে আসে। পরে কাস্টমসের কাছ থেকে পশুপ্রতি ৫০০ টাকা ফি দিয়ে করিডোর করে বৈধ করে নেয়। তিনি জানান, এই বিষয়টি সকল মহল জানলেও গোলাগুলির ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনার পর ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় বিজিবির বাংলাবাজার বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবু শহীদ বলেন, ঘটনা জানার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। রৌমারী সদর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম জানান, গোলাগুলির অভিযোগ শুনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। : : :