Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
দুর্নীতি ও লুটের টাকায় হচ্ছে আ’লীগের সম্মেলন : নোমানখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার,২০ অক্টোবর, ২০১৬:  দুর্নীতি ও লুটেরা টাকা খরচ করে মতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের ২০তম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের সম্মেলনে জনগণের কাছ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লুট করা টাকা ব্যয় করবে এটাই স্বাভাবিক। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও দলসমর্থিত দুর্নীতিবাজরা সেই সম্মেলনে টাকা খরচ করে পরবর্তীতে তথাকথিত রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে টাকা ফেরত নিয়ে নেবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)  আ স ম হান্নান শাহর স্মরণে এ আলোচনা সভা করা হয়। তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকায় আওয়ামী লীগ সম্মেলন করছে, বিশাল গেট করছে। কিন্তু কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এই সম্মেলন জনগণের কাছে কীভাবে প্রতিভাত হচ্ছে, সেটা একবার সার্ভে (জরিপ) করে যদি আপনারা দেখেন, তাহলে বুঝবেন। জনগণের যে প্রতিক্রিয়া, গেটটা দেখেই বলে, হায়রে, আমাদের টাকায় এই সম্মেলনটা হচ্ছে। আমাদের টাকায়, দুর্নীতির টাকায় এই সম্মেলন হচ্ছে। এটা মানুষের মনের কথা। এটা জোর করে আওয়ামী লীগ সরাতে পারবে না। : আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিএনপির সম্মেলনের জন্য স্থান বরাদ্দের েেত্র সরকার নাটক সাজিয়েছিল। আর নিজেদের কাউন্সিলের জন্য রাজধানীর অনেকটাই দখল করেছে, যা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। বিএনপিও জাতীয় সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা (আওয়ামী লীগ) মতাবলে সেখানে সম্মেলন করতে দেয়নি। অথচ আজ নিজেদের সম্মেলনের অন্তত ১৫ দিন আগ থেকেই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, সারা ঢাকা সিটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্যুতের ঝলমল বাতি লাগিয়ে জনগণের মধ্যে প্রজ্বলিত ােভের আগুন নেভাতে পারবে না। : তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে চায়, আওয়ামী লীগের সম্মেলন সফল হোক। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে জনগণের আশা-আকাক্সার প্রতিফলন ঘটুক।  আওয়ামী লীগ কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে বলে বিশ্বাস করি। যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সুুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বিএনপি আগেও বলেছে এখনো বলছে বিএনপি নির্বাচন চায়।  সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পায় বলে নির্বাচন দিতে চায় না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশিনও গঠন করতে চায় না। নির্বাচন হতেই হবে। তবে সে নির্বাচন নিরপে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের অধীনে হতে হবে। : সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে জনবিচ্ছিন্নতা গ্রাস করেছে। তাই তারা বিএনপিকে ধ্বংস-নির্মূল করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না, পাকিস্তানিরা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানকে দমন করতে চেয়েছিল, পারেনি। এ সরকারও বিএনপিকে দমন করতে চায়; কিন্তু পারবে না। শেখ হাসিনা  স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলে নিজেকে ছোট করেছেন। জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাই প্রতিহিংসা করে তাকে চোট করা যাবে না। : বিএনপির এই নেতা বলেন, এক মাঘে শীত যায় না। অস্ত্র ও শাসন-শোষণ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে নিগ্রহ করা যায় না। যাবে না। তাই ৭ নভেম্বরসহ বিশেষ বিশেষ দিনে বিএনপিও বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। সেেেত্র যদি কোনো অনুমতি না পাওয়া যায় তাহলে অনুমতি চাওয়া নয়, আন্দোলনের মাধ্যমেই অধিকার আদায় করা হবে। কারণ নির্বাচন হোক আর নাই হোক জনগণ যে কোনো প্রক্রিয়ায় তাদের অধিকার আদায় করে ছাড়বে। : নোমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেই প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে সফররত বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরো বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও সেই চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দুর্নীতির সমস্যা সমাধান করতে হবে। : হান্নান শাহর স্মৃতিচারণ করে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, হান্নান শাহের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তার বিরুদ্ধে হামলা, মামলার মাধ্যমে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই করে গেছেন হান্নান শাহ। ১/১১ সময়ে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। তিনি শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নায়ক ছিলেন। তিনি গণমানুষের নেতা তাই ওনার মৃত্যুকে শহীদ বলা যেতে পারে। : আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, ফোরকান-ই আলম প্রমুখ