খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুহয়েছে।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
এ সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাশাপাশি সকল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
উদ্বোধনকালে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়। এর পর পরই সম্মেলনের থিম সং পরিবেশন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসিম সারাদেশ থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
উদে¦াধনের পরপরেই অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শোক প্রস্তাবের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মান্নান খান। পরে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন দলের সাধারণ সমপাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করছেন দলের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
এখন বিদেশী অতিথিরা বক্তব্য রাখছেন । চীন, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত, কানাডা, অস্টোলিয়া, ইতালি, শ্রীলংকাসহ ১০টি দেশের ৫৫ জন বিদেশি অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সম্মেলনে ৬ হাজার ৫শ’ ৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন আগামীকাল রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এসময় কমিটি নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন। তিন সদস্যের এ কমিশনের সদস্যারা হলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. মশিউর রহমান এবং সাবেক সচিব রশিদুল আলম।
উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের কুটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে কানায় পরিপূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণে মুখরিত পুরো এলাকা। শুধু তাই নয় সম্মেলন স্থলের বাইরেও নেতা-কর্মী এবং সমর্থকসহ সর্বস্তরের মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ১৯টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।