
এই রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে আপিল করার ঘোষণাও দেন মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, হাইকোর্ট এটাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে। দুজন বিচারপতি বলেছে এটা অবৈধ, একজন বলেছেন বৈধ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল বিভাগে আপিল করব। সই মহুড়ির নকল পাওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা আছি, এটা পেয়ে গেলেই আমরা আপিল করব। এক মাসের মধ্যে আমরা করতে পারব বলে মনে হয়।
আপিলে রাষ্ট্রপক্ষ ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে বলেও উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্টের হাতে। আমাদের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেয়া হলো। এ নিয়ে আইয়ুব খান যেটা করেছিল এই বিধানটাও অনেকটা তাই। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের যে ত্যাগ, সংগ্রাম ও চেতা সবেই বৃথা হয়ে যায়। আমরা হাইকোর্টের রায় যাতে পরিবর্তন হয়, সেটা করার চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে চলতি বছর ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে হাইকোর্টের বৃহত্তরও বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।