খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, শ্রীলঙ্কার সাথে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট (উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি) হলে আমরা অনেক দিক থেকে সুবিধা পাব। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার সাথে জাহাজ চলাচলে দূরত্ব কমবে।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট (উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি) করতে দুদেশের সচিব পর্যায়ের প্রথম বৈঠক শুরু হয়েছে সচিবালয়ে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নৌ-সচিব অশোক মাধব রায়। শ্রীলঙ্কার পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেদেশের বন্দর ও নৌ-সচিব এল পি জায়ামপাথি।
শাজাহান খান বলেন, শ্রীলঙ্কার সাথে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট হলে শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলোতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিশেষ সুবিধা পাবে। আমাদের জাহাজগুলোকে তারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে বার্থিং সুবিধা দেবে। আমরা ট্যারিফ কনসেশন পাব।
তিনি বলেন, চুক্তি হলে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সিলন শিপিং করপোরেশনের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এতে আমাদের মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও ক্রুদের জন্য শ্রীলঙ্কার জাহাজগুলোতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের নাবিকদের ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রেও তারা (শ্রীলঙ্কা) প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।
শ্রীলঙ্কার সাথে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হলে জাহাজযোগে পণ্য পরিবহনে খরচ কমে যাবে। নৌ কানেকটিভিটি বৃদ্ধি পেলে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাও বাড়বে বলে জানান নৌপরিবহন মন্ত্রী।
কলম্বো ও হাম্বানতোতা দুটি বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রেই আমরা সুবিধা পাব জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক জাহাজ যেগুলো সিঙ্গাপুর হয়ে আসে, এতে সময়ও বেশি লাগে, খরচও বেশি লাগে। এদিক থেকে আমরা কিছুটা সুবিধা পাব।’
চুক্তিটি কবে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দুদেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হবে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে।