খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬: শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কের দু’পাশ বিলবোর্ড আর বিভিন্ন শ্রেণীর হকার সিন্ডিকেট দখল করে নিয়েছে। এতে শহরের সৌন্দর্য বিনষ্ট, পথচারী চলাচলে বিঘ্ন, যানযট সৃষ্টি ও প্রতিনিয়ত র্দূঘটনা ঘটছে। এসব দখল কার্যক্রমের অন্তরালে রয়েছে হকার উন্নয়ন পরিষদ নামে সংগঠন ও রাজনৈতিক সিন্ডিকেট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এটি ক্রমেই বেড়ে চলছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ঘুরে দেখা যায়, জেলা শহর মাইজদীর বকসী মিজির পোল এলাকা থেকে সুধারাম থানার সামনে পর্যন্ত প্রধান সড়কের দু’পাশ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিলবোর্ড আর হকাররা বিভিন্ন প্রকারের ছোট ছোট হরেক মালের দোকানের প্রসরা বসিয়ে ফুতপাত দখল করে নিয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত শহরে যানযট ও দূর্ঘটনা ঘটছে। ফুতপাত দখল হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছে স্কুলগ্রামী শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধসহ পথচারীরা। অন্যদিকে বিলবোর্ড এবং যত্রতত্র অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগে ঘটে চলছে অগ্নিকান্ডের মত দূর্ঘটনা। অথচ জেলার মুল কেন্দ্রবৃন্দ এ শহরে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন অফিস, শিল্পকলা একাডেমি, জেলা জজ কোর্ট, প্রেসক্লাব, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, গণপূর্ত ভবন, পাবলিক হল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় থাকা স্বর্ত্বেও কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। এতে করে হকাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রাজনৈতিক চত্রছায়ায় নোয়াখালী হকার উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠন তৈরী করে শহরের অধিকাংশ ফুতপাত দখল করে নিয়েছে। যার ফলে জেলা শহর হারাতে বসেছে শত বছরের সৌন্দর্য। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানযট।
শহরের একাধিক পথচারীর সাথে কথা বললে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলার প্রাণকেন্দ্র হলো মাইজদী শহর। এ শহরে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তাগণের পদাচারণ ঘটে। কিন্তু শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কের দু’পাশ দখল হয়ে গেলেও যেন তাঁদের কোন নজরদারি নাই। একাধিকবার এসব হকারদেরকে উচ্ছেদ করা হলেও পূনরায় পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা হকারদের কাছ থেকে নিদিষ্ট পরিমানে চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তাদেরকে সড়কের উপর পূর্ণবাসন করছে। এ বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নোয়াখালী হকার উন্নয়ন পরিষদ নামের এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম জানান, পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাদের আর্শিবাদ নিয়েই আমরা এখানে ৩ শতাধিক হকার ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, অচিরেই ফুতপাতের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে প্রধান সড়ক থেকে উচ্ছেদ করে নিদিষ্ট স্থানে পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে।