Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

32kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬: কাশি একটা সামান্য রোগ ঠিক, কিন্তু যন্ত্রণা কিন্তু সামান্য নয়। কাশি হলে আপনি মনের সুখে কোন কাজ করতে পারবেন না। নিজের ঘুমের পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবেন।

খুসখুসে কাশিতো আরো বেশি যন্ত্রণা দিয়ে থাকে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, ধূলাবালি, গরম-ঠাণ্ডা পরিবেশসহ বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে। শীতের আগমন বার্তা শোনা যাচ্ছে। এই সময়ে কাশির প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। আমরা কাশি থেকে মুক্তি পেতে বাজার থেকে প্রচুর ঔষধ ক্রয়ের জন্য অন্ধ হয়ে যাই। কিন্তু এজন্য কিছু সহজ ঘরোয়া ব্যবস্থা রয়েছে যেগুলোর দ্বারা সহজেই কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।

চলুন জানা যাক, কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়:

১৫-২০ গ্রাম ঘিতে কিছু গোলমরিচ নিয়ে হালকা তাপে গরম করুন। যখন গোলমরিচ গরম হবে তখন কিছু ঠাণ্ডা করে তাতে প্রায় ২০ গ্রাম মিছরি গুঁড়ো মেশান। অতঃপর গোলমরিচ সরিয়ে খেয়ে নিন। এই নিয়মে দু-তিন দিন সেবন করলে কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।

তুলসি পাতায় ৫টি গোলমরিচ, ৫টি কিশমিশ, ৫ গ্রাম গমের আটা, ৬ গ্রাম যষ্টিমধু নিয়ে ২০০ মি.লি. পানিতে গরম করুন। যখন পানি কমে অর্ধেক হবে তখন তা নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। পুনরায় গরম করুন এবং রাতে শোয়ার সময় গরম গরম পান করুন। এভাবে ৩-৪ দিন পান করুন। কাশি ভাল হয়ে যাবে।

সৈন্ধব লবণের টুকরা আগুনে গরম করুন। যখন তা গরমে লাল হবে তখন দ্রুত আধা কাপ পানিতে ঢেলে দিন। শোয়ার পূর্বে এই পানি পান করলে কাশি থেকে অনেক আরাম মিলবে। অথবা, এক গ্রাম সৈন্ধব লবণ এবং ১২৫ গ্রাম পানি নিয়ে আগুনে গরম করুন। পানি অর্ধেক হলে নামিয়ে ফেলুন। সকাল-সন্ধ্যা এই পানি পান করলে কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।

কাশি হলে দুধে কয়েক টুকরা শুকনো আদা নিয়ে গরম করুন। রাতে শোয়ার সময় এই দুধ পান করুন। এভাবে মাত্র ২-৩ দিনেই কাশি ভাল হয়ে যাবে।

মধু ও কিশমিশ খেলে কাশি থেকে মুক্তি মেলে।

ত্রিফলা ও সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে পান করলে কাশিতে উপকার পাবেন।

তুলসী পাতা, গোলমরিচ এবং আদা দ্বারা তৈরি চা পান করলে কাশি থেকে নিমিষেই মুক্তি পাবেন।

হিং, ত্রিফলা, যষ্টিমধু একত্রে মিশিয়ে লেবুর রস দিয়ে চাটনি বানিয়ে খান, কাশি পালাবে।

খুসখুসে কাশিতে অধিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। এই কাশিতে কফ হয় না কিন্তু কাশি আসতেই থাকে। যদি কাশি দীর্ঘদিন থাকে তবে অবহেলা করবেন না। দু’সপ্তাহের বেশি কাশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।