খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে নির্বাচন নিয়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আনারস মার্কা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে সহিংসতা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সর্মথকদের প্রচারণায় বাধা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
এছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম প্রামানিক। এসব ঘটনার প্রতিকারসহ নির্বাচনের আগে ইউপিতে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েনের দাবি জানিয়ে তিনি বাগমারা নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত ৭ মে। কিন্তু ৫ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ওই নির্বাচন স্থগিত করে দেয়। এরপর আগামী ৩১ অক্টোবর আবারো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্থগিত হওয়া এ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে এখন প্রচার-প্রচারণাও তুঙ্গে উঠেছে। পাড়া মহল্লায় ঘুরে দিনরাত নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন প্রার্থীরা। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে। মিছিল, জনসভার পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন তাহেরপুর পৌরসভার আ’লীগ দলের নেতারাও।
এদিকে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগমারা উপজেলা কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম প্রামানিকের আনারস মার্কার কর্মী-সমর্থকরা। তাদের মধ্যে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আলমগীর সরকারের নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকদের চাপের মুখে তারা হতাশায় ভুগছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। আর এ কারণে ভোটের উৎসব আমেজ বাদ দিয়ে এসব ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে আতংক। আর বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে নির্বাচনের দিন ভোটারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সহিংসতা। আর এ কারণে ভোটের উৎসব আমেজ বাদ দিয়ে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে আতংক। হুমকী-ধামকি-ভয়ভিতির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৌশলী হয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেই কোন উৎসাহ-উদ্দিপনা। নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে কি না, এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে রয়েছে সংশয়। সাধারন ভোটারের দাবি অবাদ নিরপেক্ষ সুষ্ট্য ভোট হয় যেনো।
অপরদিকে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সালাম প্রামানিক তার তালতলী,রামরামা,মিজাপুর ও সাজুড়িয়া গ্রামের,বেশ কেছু কর্মীদেরকে হুমকী-ধামকি-ভয়ভিতির তার কর্মী সমর্থকদের প্রচারণায় বাধাসহ পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা। এছাড়াও তার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানির হুমকি দিয়ে গণসংযোগে বাধা দেয়। ভোটারদের প্রকাশ্যে টেবিলে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার হুমকি এবং তাদের কথা অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে দেশ ছাড়াসহ প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল), বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা,বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচেছনা বলে আব্দুস সালাম প্রামানিক জানান।
এব্যাপারে বাগমারা থানার (ওসি) সেলিম হোসেন জানান,অনিয়ম এবং সংঘর্ষের কারণে ৭ মে চতুর্থ ধাপের ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছিলি। এখন নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।