Sun. Mar 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ :  ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসে পাকিস্তানি কারিগর বানিয়েছেন গুলশানে হামলার অস্ত্র, এমনটাই জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসটিএফ) হাতে আটক ছয় জঙ্গি এই তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ।

গ্রেপ্তারকৃত ওই ছয় জঙ্গি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত বলেও জানিয়েছে এনআইএ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, চলতি বছরের পহেলা জুলাই ঢাকার গুলশানের বেকারিতে জঙ্গিরা যে অ্যাসাল্ট রাইফেল ব্যবহার করে তা তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। ওই রাইফেল দিয়েই জঙ্গিরা ২০ জন বিদেশি জিম্মিকে হত্যা করেছিল। এই জিম্মিদের একজন ছিলেন ভারতীয় নাগরিক তারুশি জৈন।

গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের বক্তব্য অনুযায়ী, ঢাকার গুলশানে ওই হামলার জন্য পাকিস্তান থেকে উপজাতি সম্প্রদায়ের বন্দুক নির্মাতারা এসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় ঘাঁটি গাড়ে। সেখানেই পাকিস্তানের বন্দুক নির্মাতাদের প্রশিক্ষণে ভারতের বিহার রাজ্যের মুঙ্গেরের বন্দুক নির্মাতা ও কামারদের হাতে তৈরি হয় এ কে ২২ অ্যাসাল্ট রাইফেল। তারপর তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর গোয়েন্দাদের ধারণা, পাকিস্তান থেকে আসা ওই বন্দুক নির্মাতারা সম্ভবত সেখানকার পেশোয়ার ও কোহাট প্রদেশের ‘দারা আদম খেল’ সম্প্রদায়ের লোকজন। মূলত এই সম্প্রদায়ের মানুষরাই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে যুদ্ধরত তালেবানদের জন্য অত্যাধুনিক বিভিন্ন অস্ত্রের নকল তৈরি করে।

এনআইএর গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পাকিস্তানের ‘দারা আদম খেল’ উপজাতির কিছু মানুষ যেকোনো ধরনের অস্ত্রের নিখুঁত কপি করতে পারে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তারা অত্যাধুনিক রাইফেলও নকল করতে পারে। আর সেটাই তারা করেছিল গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র তৈরিতে।

অবশ্য এর আগেই গুলশানের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে বাংলাদেশ জানিয়েছিল, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র এসেছিল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটি থেকে। এবং এই অস্ত্র জোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের বিহারের মুঙ্গেরের নামও উল্লেখ করে। আর এবার এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় জঙ্গির দেওয়া তথ্য মিলিয়ে এনআইএ গোয়েন্দারা প্রায় নিশ্চিত যে, অস্ত্রগুলো তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মাটিতেই।

এদিকে বাংলাদেশের তদন্তে বিহারের নাম উঠে আসার পরিপ্রেক্ষিতে স্পর্শকাতর এই বিষয়ে তদন্ত করেছে বিহার পুলিশও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিহারের মুঙ্গেরের অস্ত্র প্রস্তুতকারীরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল। সূত্র: এনটিভি অনলাইন