
রোববার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।সচিবালয়ে ‘উন্নয়ন ও সমসাময়িক রাজনীতি’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ইম্পসিবলকে পসিবল করা রাজনীতিকদের একটা সাফল্যের হিসাব। আমি চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করি এবং কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রমযোগ্য নয়।পদ্মাসেতু নির্মাণে যে চ্যালেঞ্জ সেটা অতিক্রমের পর সাহস অনেক বেড়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অসীম সাহসে আমরা কলিগরাও অবাক হয়েছি, যে কী করে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু নির্মাণে হাত দিলেন। প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়’।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক সরে গিয়েছিল, এক-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রেসিডেন্ট এলেন- তিনি দেখলেন বাংলাদেশের সক্ষমতা, শক্তির উৎস কী? তখন (বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ায়) আমাদের কষ্ট হয়েছিল, যে আমরা চোরের জাতি! কিন্তু বিশ্ব আজ অকপটে স্বীকার করছে পদ্মাসেতু থেকে সরে যাওয়া ছিল বিগ মিস্টেক।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এখন বিশ্বে আমাদের সম্মানের বিষয়। আমাদের এই সক্ষমতা বিশ্বের বিষ্ময়। আমি মনে করি এটা শেখ হাসিনা ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমাদের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে স্প্যান বসবে। প্রথম স্প্যানটির অ্যাসেম্বিলিং চলছে, আর একটি অন দ্য ওয়ে। পদ্মাসেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসবে। অ্যাপ্রোসের কাজ প্রায় শেষ।
বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা পারি, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন। সেই সামর্থ্য, শক্তি ও সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। আমরা যথা সময়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করবো। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ শেষে চালু করবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এরকম চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার যখন সক্ষমতা দেখিয়েছি, তখন যে কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারবো। আমাজন এবং পদ্মাসেতু পৃথিবীর বিষ্ময়। যে কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারি।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।বিএসআরএফ’র সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।