
রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন,সরকার ও নির্বাচন কমিশনার বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করা হবে। কিন্তু সরকার সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি নির্বাচন করতে চলছে। সরকার জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চায়। এতে জনগণ প্রত্যাক্ষ ভোট থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা কাজ করছে না। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি আর হবেও না। নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড নাই। তাই ২০ দলীয় জোটের সন্দিহান জেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতালি নাগরিক তাবেল্লা হত্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। জনগণ কাকে বিশ্বাস করবে। তাদের এ রকম বক্তব্য প্রমান হয় রাজনৈতিক উদ্যেশেই সরকার বিএনপি নেতা এম এ কাউয়ুমকে জড়িয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। সরকারের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এ রকম তথ্য আসলে জনগণ আস্থা হারায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিদিনই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইনের শাসন নাই। মাঝে মাঝে মনে হয় দেশে কোন সরকার নাই।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সকোরের একটি লক্ষ্য হচ্ছে সমস্তদল গুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করা। সরকার গণতন্ত্রের মোড়কে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে। আমরা ২০ দলীয় জোট গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লূৎফর রহমান, ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর রহমান, বিজেপি আবদুল মতিন, এপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির মো. মঞ্জুর হোসেন ইসা, লেবার পার্টির শামসুদ্দিন আহমেদ পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের শফিক উদ্দিন, ন্যাপ (ভাসানী) নেতা গোলাম মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের এসএম হানিফুল কবীর প্রমুখ উপিস্থিত ছিলেন।