মনিরুল ইসলাম পারভেজ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ওএমএস এর চাল নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবুল কাশেম।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম তদন্ত কমিটি ঘটনের কথা স্বীকার করে বার্তা সংস্থা এনবিএসকে জানান, যে ৩ জন খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনির্তীর অভিযোগ উঠেছে তাদের দুদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওএমএস-এর ডিলারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং শুভজিত দে’র বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গরীব দুখি মানুষের মাঝে কমমূল্যে বিক্রিরে জন্য খোলাবাজারের চাল নিয়েও শুরু হয় হরিলুট। প্রতিদিন দিন বরাদ্দ ৬০ মেট্রিকটন চালের এক তৃতীয়াংশও পৌঁছায় না দরিদ্র মানুষের কাছে। চট্টগ্রামে দেওয়ানহাট ও হালিশহর সিএসডি থেকে প্রতিদিন বের হয় ওএমএস এর চাল বোঝাই ট্রাক বা পিকআপ। তাতে ব্যানার লাগানো বাধ্যতামূলক হলেও বেশিরভাগেই তা নেই। আবার ব্যানার লাগিয়ে কিছু ট্রাক বের হলেও পরে তা খুলে ফেলা হয়। অভিযোগ রয়েছে এরপর চাল বিক্রি করে দেয়া হয় কোন আড়ত বা দোকানে।
এ ছাড়া গুদামেই অর্ধেক বিক্রি করে দিচ্ছেন ডিলাররা। বাকিটা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এই অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্যে খোদ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ওএমএস-এর চাল নিয়ে এমন ভয়াবহ জালিয়াতির চিত্রপ্রচারিত হয় একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে। এর পর পরই তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে।