খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬: পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলাকে টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছে নব্য জেএমবি’র সদস্যরা। ‘বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতো এমন এক জেএমবি নেতা ওই এলাকায় তৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের সুযোগে আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশকে টার্গেট করে এ হামলার পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনিরুজ্জামান। গত ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বুধবার বাগেরহাট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ পিরোজপুর এবং বাগেরহাট কচুয়া থেকে ৪ নিউ জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতার করে। এরমধ্যে তিন নিউ জেএমবি সদস্যই পিরোজপুরের।
পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের নিজস্ব কোন্দলের ফলে নিউ জেএমবিরা এ এলাকায় তৎর্প বেশি। শোনা গেছে, পিরোজপুর জেলার সাত থানার মধ্যে মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর,কাউখালী ও পিরোজপুর সদরে এই সদস্যরা ঘাঁটি গড়ে থাকতে পারে। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি জেলা শহরে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গেছে। কিছু কিছু রিকশা চালক আছে যারা কোথা থেকে এসেছে কোথায় তাদের গন্তব্য কেউ জানে না। আবার গ্রামে-গঞ্জেও আলোচিত লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, পিরোজপুর সদরে এমন তিনটি গ্রাম রয়েছে যেখানে এলাকার প্রভাবশালী লোকজনের পরিচয়ে তারা নির্বিঘেœ চলাফেরা করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নামধারী কতিপয় নেতা এ ধরনের সন্দেহভাজন লোকজনদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়ার মধ্যবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামেও নব্য জেএমবি’র তৎপরতা থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ।
ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘নব্য জেএমবির এই গ্রুপটি বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও যশোর জেলার একাংশে আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশকে টার্গেট করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের সুযোগে ওই দলটির নেতাদের টার্গেট করেছে। পুলিশের মনোবল ভাঙতে খুলনা রেঞ্জের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনেস্টবল পর্যন্ত কোনো পুলিশ সদস্য নব্য জেএমবির টার্গেটের বাইরে নয়।‘ডিআইজি বলেন, বাগেরহাটের কচুয়ায় মঙ্গলবার রাতে আটক এই চার জঙ্গিসহ একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওই জেএমবি নেতা। পুলিশ নব্য জেএমবির এই টিম লিডারের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বত্বপূর্ণ তথ্য পেলেও দ্রুত গ্রেফতারের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করছে না।’
ডিআইজি আরও বলেন, ‘নব্য জেএমবির এই গ্রুপটিতে আইটি বিশেষজ্ঞ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে নিজস্ব সফ্টওয়্যার তৈরি করেছে। কচুয়ায় অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া ৭ থেকে ৮ জন জঙ্গিসহ এই গ্রুপটিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।