খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬: বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সর্ববৃহত্তম সবজির প্রসিদ্ধ হাটবাজার হিসাবে খ্যাত মহাস্থানহাট। এ হাটে প্রতিদিনই উঠতে শুরু করেছে শীতের বিচিত্র সবজি। তুলনা মূলক দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের চোখে মুখে খুশির চাপ যেনো দোলা দিচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারের দামের তফাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। শুক্রবার দুপুর ১২টায় মহাস্থান হাটের সরেজমিনে গিয়ে সবজি বিক্রেতা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
গত কয়েক মাসে বৈরী আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক বর্ষণে ক্ষেতের অনেক উঠতি ফসল তাদের পঁচে নষ্ট হয়েছে। এছাড়া বগুড়ার আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যায় সেখানে ফসল উৎপাদন না হওয়ায় সবজির চাহিদা মেটাতে অনেকটা ঘারতি দেখা দিয়েছে। কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে লোকসানের পর এবার আগাম শীতের সবজি বিক্রি করে হাসি ফুটেছে তাদের মুখে। এ মূল্য আরোও কিছু দিন থাকলে বিগত দিনের ক্ষতির বোঝা পুষিয়ে নিয়ে ভাল অবস্থানে যেতে পারবে বলে
আশা করছেন এসব সবজি চাষিরা। এদিকে সবজির পাইকারি বাজারের সাথে খুচরা বাজারের কোন মিল নেই। ক্রেতাদের এমনটায় অভিযোগ, বাজার মনিটরিং না থাকায় বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছে ভোক্তারা।
কৃষকের কাছ থেকে যে দামে সবজি কেনা হচ্ছে তার দ্বিগুণ দামে বড় মোকাম গুলোতে বিক্রি হচ্ছে কেনো দূরের পাইকারদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এবার সবজির উৎপাদন অনেক কম। চাহিদা মত সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অপর দিকে মহাসড়কে পণ্যবাহী পরিবহনে অতিরিক্ত চাঁদাবাজির ফলে তার প্রভাব পড়ে এসব পণ্যের ওপর। তাই দূরের বাজারে সবজি উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়া জেলার সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থান থেকে প্রায় ১১ কিলো: রাজাবাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পেপে ১৮টাকা, সিম ৮০ টাকা এবং প্রতি পিস বাঁধা কপি ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। (কদু) লাউ ৩০টাকা পিস, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১’শ টাকায়।
তবে অধিক দামের কারণে স্বল্প আয়ের মানুষেরা কিনতে পারছেন না শীতের আগাম সবজি। এবার জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।