খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬: আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যোগ না দেয়া নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জাতীয় সমাজন্ত্রিক দল-জেএসডি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এনিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।
খালেদা জিয়ার না যাওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খালেদা জিয়া গেলে তাকে কথা বলতে দেয়া হতো না। অন্য রাজনীতিবিদ যারা গেছেন তাদেরকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আপ্যায়ন করা হলো না। অথচ বিদেশীদের সেই সুযোগ দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে ব্যর্থ সম্মেলন হতে পারে না।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকারের বাইরে থাকা সব দলগুলোকে একসঙ্গে আন্দোলন করা উচিত। গণমানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রামে নামতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়ে খালেদা জিয়া বক্তব্য দিতে পারতেন। ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকীসহ অন্য রাজনীতিবিদরা কেন যাননি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারতেন। এভাবে বিএনপি প্রতিনিয়ত ভুল করছে।
সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, একসময়ে পাকিস্তানিরা মনে করতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেয়া যাবে না, কারণ এতে পাকিস্তান ভেঙে যাবে। এখন আওয়ামী লীগ মনে করছে, অন্য কোনো দলকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না, এতে তাদের কী পরিণতি হবে তা ভবিষ্যতই নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় জীবনে আজ যে সংকট, ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যেভাবে বিস্তার লাভ করছে, এতে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি ও জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ লংঘন করে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। বিনাবিচারে ক্রসফায়ারে মানুষ মারা হচ্ছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, জেএসডির মিসেস তানিয়া ফেরদেসৌ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।