খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি করলে কোনো প্রভাশালীও ছাড় পাবে না।
দুদকের দায়ের করা এক মামলায় বুধবার সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান সন্তোষ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন।
এদিকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় এই এমপি।
ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
এছাড়া জামিনে থাকা সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্যের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমপি বদির বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকা লীনা বলেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারী দলের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
এতে তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
গত ১৯ অক্টোবর মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করা হয়। এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
অবশেষে আজ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন।