Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

37খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬ :
মসুলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মত এক অডিও বার্তায় জয়ের আত্মবিশ্বাসের কথা বলেছেন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতা আবু বকর আল বাগদাদি।

বৃহস্পতিবার ইন্টারনেটে বাগদাদির সমর্থকদের প্রকাশ করা ওই অডিও বার্তায় তিনি তুরস্ক দখল করার জন্য আইএস যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাগদাদি বলেন, “এই উন্মত্ত লড়াই ও পূর্ণ যুদ্ধ এবং যে মহান জিহাদে আজ ইসলামি রাষ্ট্রটি লড়াই করছে তা শুধু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলছে, আল্লাহর ইচ্ছায় এবং আমাদের বিবেচনায় এর সবই জয়ের পূর্ব লক্ষণ।”
তবে ৩১ মিনিট দীর্ঘ রেকর্ডকৃত এই বার্তাটির সত্যাসত্য নির্ধারণ করা যায়নি।
এর আগে বাগদাদির বলে দাবি করা সর্বশেষ বার্তাটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই বার্তায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা সিরিয়ায় আইএসকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে নিজের অনুসারি ও সমর্থকদের আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি।
এবারের বার্তায় তিনি ‘আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদকে’ দুর্বল হতে না দিতে নিনেভ প্রদেশের (মসুল এই প্রদেশের প্রধান শহর) জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আইএসের আত্মঘাতী যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অবিশ্বাসীদের রাতগুলোকে দিনে পরিণত করুন, তাদের ভূমিকে মরুভূমিতে পরিণত করুন এবং তাদের রক্তে নদী বইয়ে দিন।”
গত ১৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের স্থল ও বিমান হামলার সমর্থন নিয়ে মসুল অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনীগুলো। ২০০৩ সালে ইরাকের মার্কিন অভিযানের পর থেকে দেশটিতে এটিই বৃহত্তম সামরিক অভিযান।
দুই বছর আগে ইরাক ও সিরিয়ার অনেকগুলো শহর দখল করে নেয় আইএস। এগুলোর মধ্যে মসুল অন্যতম। শহরটিতে ১৫ লাখ মানুষের বাস। আইএসের দখলকৃত অন্য যে কোনো শহরের চেয়ে এখানে অনেক বেশি মানুষ বাস করে।
সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে লড়াইরত তুর্কি বাহিনীর ওপর ‘ক্রোধের আগুন ঢেলে দিতে’ এবং লড়াই তুরস্ক পর্যন্ত নিয়ে যেতে যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান বাগদাদি।
তিনি বলেন, “তুর্কি আজ আপনাদের কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং জিহাদকে লক্ষ্যস্থল বানিয়েছে, তাই তুরস্ক দখল করুন এবং তাদের নিরাপত্তাকে আতঙ্কে পরিণত করুন।”
নিজের অনুসারিদের সৌদি আরবে ‘একের পর এক হামলা’ চালানোর আহ্বান জানান তিনি। এসব হামলায় নিরাপত্তা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন আল সৌদ পরিবারের সদস্য এবং গণমাধ্যমগুলোকে লক্ষ্যস্থল করার নির্দেশ দেন তিনি।
আবু মুহম্মদ আল আদনানি এবং আবু মুহাম্মদ আল ফুরকানের মতো আইএসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মৃত্যুতে ‘খিলাফত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি’ বলেও দাবি করেন তিনি।
গত বছর ইরাক ও সিরিয়া, উভয় দেশে বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানের মুখে পিছু হটতে শুরু করে আইএস।
এখন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইরাকি সরকারি বাহিনী, কুর্দি পেশমেরগা বাহিনী ও ইরানি সমর্থিত শিয়া বেসামরিক বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
অপরদিকে সিরিয়ায় গোষ্ঠীটি, রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত সিরীয় সেনাবাহিনী এবং বিদেশি শিয়া বেসামরিক বাহিনী, তুর্কি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী এবং যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।