Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬:17
বিষণœতার কথা ভাবলেই আমাদের মাথায় একটি সাধারণ দৃশ্য ভেসে ওঠে। একজন নারী বা পুরুষ দুঃখ ভারাক্রান্ত চেহারা নিয়ে দরজা বন্ধ করে অন্ধকার ঘরে মাথা নিচু করে বসে রয়েছেন। আসল চিত্র মোটেও তেমনটা নয়। বিষণœ মনের মানুষটির মাঝেও আনন্দের স্ফুরণ দেখতে পারেন। যেকোনো মানুষের সঙ্গে তারা হাসি-ঠাট্টা করে দিব্যি সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। বুঝতে হবে মনের ভেতরে কী ঘটে চলেছে।
২. প্রায়ই বিরক্তিভাব ও ক্ষোভঃ
বিষণœতা জীবনের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতার একটি। দুঃখবোধ চরমভাবে আঘাত হানে। অনেক সময় বিষণœতায় বিষাদগ্রস্ত অনুভূতি, উদাসীনতা, অনাসক্তি এবং অসহায় বোধ যোগ হয়। অবশ্য এগুলো স্পষ্টভাবে বিষণœতাকে সংজ্ঞায়িত করে না। অবস্থাটা লুকানো থাকলে আক্রান্তরা তা অস্বীকার করে থাকেন। নিজের প্রতি ঘৃণা বা নেতিবাচক আবেগ দীর্ঘকাল স্থায়িত্ব পেলে বিষণœতা লুকিয়ে যেতে পারে।
৩. প্রিয় বিষয়ের প্রতি প্রতিশ্র“তিবদ্ধ না থাকাঃ
যা একসময় মনের মতো ছিল, তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার অনেক কারণ থাকতে পারে। বিষণœতায় আক্রান্ত মানুষের কাছে হঠাৎ করেই সব কিছু অর্থ হারায়। তাঁরা জীবনে কোনো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য খুঁজে পান না। ক্রমেই তাঁরা ধ্বংসবাদে বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তাঁরা অকারণে সবাইকে এড়িয়ে চলতে চান।
৪. ঘুম না আসার অভিযোগঃ
বিষণœ মানুষের ঘুম ঠিক থাকতে পারে। তবুও সব সময় অবসাদ আর ক্লান্তিকর অবস্থা বিরাজ করে। এর পেছনে তাঁরা ঘুমের অভাবকেও দায়ী করেন। আবার সারারাত ঘুম নাও আসতে পারে তাঁদের। বিছানায় এদিক-ওদিক করা, নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ আর এ থেকে মুক্তির নিরন্তর চেষ্টা চলতেই থাকে। কিন্তু বাঁচার পথ মেলে না।