Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

40মন্দির ও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ফুঁসছে নাসিরনগরবাসী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে তাদের দাবি।

নাসিরনগরের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ, হিন্দু সমাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন ব্যানারে তারা মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি জানায়। পাশাপাশি নাসিরনগরের হারিয়ে যাওয়া অসাম্প্রদায়িকতা ফিরিয়ে আনার আহ্বানও তারা জানায়।
উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায় মানববন্ধনে বলেন, “আমাদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যারা জড়িত, অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।”
তিনি আরো বলেন, “স্থানীয় আওয়ামী লীগকে দ্বিধাবিভক্ত করতেই কুচক্রি একটি মহল পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়। মন্ত্রী ছায়েদুল হকের বিরুদ্ধেও একটা বড় ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। কখনোই তিনি এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।
স্থানীয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অমর ভট্টাচার্য বলেন, “নাসিরনগরে মন্দির এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। একটি মহল নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে এ ঘটনা ঘটায়। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তারা মিথ্যা অভিযোগ আনে। আমাদের মন্ত্রী কাউকে মালাউন বলেননি।”
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব, স্থানীয় মেম্বার নগেন্দ্র দাস, কাজল জ্যোতি দত্ত প্রমুখ।
এদিকে নাসিরনগরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক স্থানীয় ডাকবাংলোয় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় চলছে টানটান উত্তেজনা।
উল্লেখ্য, ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদের নামে ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অভিযোগ, নাসিরনগরের ইউএনও মোয়াজ্জেম ও ওসি আবদুল কাদেরের উপস্থিতিতে একটি সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের পরই ওই হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনার পর সহস্রাধিক লোককে আসামি করে দুটি মামলা হয়। গঠন করা হয় তিনটি তদন্ত কমিটি। মন্দিরসহ বাড়িঘরে হামলার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার ভোরে উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।