খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬:চাঁপাইনবাবগঞ্জে বহূগুণে বর্ধিত পৌর ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনরত অযৌক্তিক পৌর ট্যাক্স বৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির ডাকা ‘পৌরসভা ঘেরাও’ কর্মসূচী পৌর ভবনের নিকটে বড় ইন্দারা মোড়ে পুলিশী বাঁধার মুখে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করেছে।
আজ রবিবার সকাল থেকে শহরের ফুড অফিস মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে জড়ো হওয়া শত শত ক্ষুদ্ধ পৌর নাগরিক বেলা পৌনে ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিন শেষে সোয়া ১১টার দিকে পৌর কার্যালয়ের প্রবেশ মুখে পুলিশী বাঁধার মুখে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পুলিশ জনতা মুখোমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ সেখানেই রাস্তায় বসে পড়ে এবং ট্যাক্স বৃদ্ধি ও পুলিশী বাঁধার বিরুদ্ধে শ্লোগাণ দিতে থাকে। এ সময় আন্দোলনকারীদের অনেকেই ঝাঁটা প্রদর্শণ করে।
এ সময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলামের নেতৃত্ত্বে সদর থানা পুলিশের কিছুটা মারমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এরপর আন্দোলনের নেতৃত্ত্ব দানকারীকের সাথে পুলিশের কথা বার্তার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ফেরত আসে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নামফলক স্তম্ভে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটির আব্দুস সালাম, জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, আ্যাড শাহনেওয়াজ খাঁন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা এ সময় বলেন, তিনমাস ধরে চলা অযৌক্তিক পৌরট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যহত থাকবে। তারা অহিংস ও শান্তিপূর্ন পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশী বাঁধার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। আন্দোলনের সমন্বয়কারী সৈয়দ হোসেন আহমেদ নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করে বলেন, তারা যে ট্যাক্স প্রস্তাবনা আগে পেশ করেছেন সেটি ১৫ নভেম্বর নতুন জেলা প্রশাসকের নিকট আবারও উপস্থাপন করবেন। সে লক্ষ্যে তারা সবাইকে সেদিন সমবেত হবার আহব্বান জানান। প্রতিরোধ কমিটির ৭ দফা দাবী সমূহের মধ্যে রয়েছে হটাৎ করে বহূগুনে বর্ধিত পৌর ট্যাক্স বাতিল করে নতুন ভাবে অ্যাসেসমেন্ট করে ট্যাক্স নির্ধরন, ট্যাক্স সংক্রান্ত সকল তথ্য ওয়েবসাইটে প্রদান ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত পৌর ট্যাক্সের বিরুদ্ধে ১৮ আগষ্ট থেকে নানা রকম শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে প্রতিরোধ কমিটি। এই পর্যায়ে ৬ অক্টোবর মেয়রের ডাকে সংশ্লিস্ট পক্ষ সমূহের উপস্থিতিতে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা শুরু করে প্রতিরোধ কমিটি। বন্ধ রাখা হয় আন্দোলন ও ট্যাক্স শুনানী। কিন্তু দাবী সমূহের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য সমাধান হয়নি। এ প্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করে প্রতিরোধ কমিটি। এই ধারাবহিকতায় ২৭ অক্টোবর মানববন্ধনের মাধ্যমে আবারও আন্দোলন শুরু হয়।
এদিকে পুলিশী বাঁধার ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা মিছিল বা সমাবেশের কোন পূর্ব অনুমতি নেয়নি। তাদের বুঝিয়ে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।