খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০১৬:

৬ নভেম্বর ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট গাজী রবিউল ইসলাম সাগর, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নাবিহা রহমান, রাকেশ রহমান, আব্দুল মোকাদ্দিম, মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ সারাদেশে হঠাৎ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ও মন্দিরে যে আক্রমন আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জানাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক ন্যাক্কারজনক হামলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নাসিরনগরে আওয়ামী লীগের ৩ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রীকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আন্দোলন দানা বেধে উঠেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য বক্তব্য বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় এই ঘটনার সাথে ওতপ্রতভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার দল জড়িত। বর্তমানে বিএনপির ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সূত্রপাত করতে পারে বলেও নেতৃবৃন্দ মনে করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশ জুড়ে হিন্দু সমাজের উপর যে আক্রমন হচ্ছে তা নতুন কোন ঘটনা নয়। বিভিন্ন সময় মূল ঘটনাকে আড়াল করার জন্য এমন ঘটনার সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই তাদের বাড়ি-ঘর দখল থেকে শুরু করে লুটপাটের অনেক খবর পত্রিকায় দেখা যায়। তারপরেও তারা আ’লীগের প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসায় নিজেরা অন্ধ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যখন প্রকাশ্যে নাসিরনগরে প্রতিমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে মালাউন বললেন তখন চেতনাধারী, প্রগতিশীলরা কোথায় ছিল? কাউকে রাজপথে সভা-সমাবেশে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। অথচ এরকম ঘটনা যদি ২০ দলীয় জোট কিংবা বিএনপির কেউ করতো তাহলে হয়তো এতক্ষণ তুমুল কা- ঘটে যেত। অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে যারা নাসিরনরগসহ সারাদেশে তা-ব চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান ন্যাশনাল ডেমোক্রটিক পার্টি এনডিপির পক্ষ থেকে।