শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সঙ্গে শ্রীবরদী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ঝিনাইগাতী ভায়া ভায়াডাঙ্গা শ্রীবরদী রাস্তাটি এখন বেহাল দশা। প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে ২ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সি.এনজি, অটো রিক্সা, রিক্সা, ট্রাক-বাসসহ পথচারীদের এই রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে প্রায়ই রিক্সা, বেবি টেক্সি, সি.এনজি, ট্রাক-বাস, প্রাইভেটকার উল্টে মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে চলছে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন নজরদারি নেয়। ফলে এ পথে যাতায়াত হাজার মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই। কৃষকরা তাদের কৃষি পণ্য নিয়ে বাজারজাত করার জন্য একমাত্র সহজতম একটিই রাস্তা। উল্লেখ্য, এ রাস্তা দিয়ে ৩০/৪০টি গ্রামের কৃষিজাত পণ্য শাক-সবজি, তরি-তরকারি, ধান ও পাট শ্রীবরদী চরাঞ্চল থেকে ঝিনাইগাতী সদর বাজারে বিক্রির জন্য কৃষকরা নিয়ে আসে। বর্তমানে এই রাস্তাটির দূরাবস্থার কারণে কৃষকরা পড়েছে মহা বিপাকে। এখন আর কৃষকরা সহজ পথে তাদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারছে না।
ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী ২টি উপজেলার সংযোগে ঝিনাইগাতী ভায়া ভায়াডাঙ্গা শ্রীবরদী রাস্তাটির দূরত্ব ১২ কি: মি:। এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে শ্রীবরদী উপজেলায় বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করতে হলে ৪৪ কি: মি: ঘুরে আসতে হয়। এতে একদিকে যেমন সময় বেশী লাগে, কৃষকের কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে দ্বিগুন ভাড়াও গুনতে হয়। প্রকাশ থাকে যে, ইতি পূর্বে উক্ত রাস্তার মাঝে দুপুরিয়া নামক স্থানে একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল দু’উপজেলার। এখন উক্ত রাস্তায় ব্রীজ নির্মাণ করে ২ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা দূরত্ব কমে যাতায়াত করা সহজ হয়। কিন্তু এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে আবারও যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক। রাস্তাটি মাঝে খানা-খন্ড, ভাঙ্গা-চুড়া, গর্তের কারণে কোন পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। সূত্রমতে জানা যায়, প্রথমে এই রাস্তাটি এল.জি.ইডি’র আওতায় ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রাস্তাটির তদারকি চলে যায় সওজ’র কাছে। বর্তমানে কেউ এ রাস্তাটির দ্বায়ভার নিচ্ছে না। এল.জি.ইডি বলছে আমাদের নিয়ন্ত্রনে নেই, আবার সওজ’র কাছে গিয়ে জানা যায় এল.জি.ইডি’রই দায়িত্বে আছে। তাহলে উক্ত রাস্তাটির দ্বায়ভার কার। তাই অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত রাস্তাটি পূন: মেরামতের মাধ্যমে ২টি উপজেলার ৬লক্ষ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা পথ সুগম করার দাবী অত্র এলাকাবাসীর।