খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬:
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার, সরকারী জায়গা দখল ও বহুতল ভবন নির্মান শিরোনামে গত- ০১-১১-১৬ ইং একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সহকারী কমিশনার ভূমি টংগীবাড়ী সূত্রে জানাযায়, নিউজটি প্রচার প্রকাশ হওয়ার পর পর প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সেই সঙ্গে টংগীবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খাঁন রুবেলকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন। এর পর থেকে রুবেল বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন লোক মারফত হুমকি প্রদান করেন। তিনি পত্রিকা এবং পত্রিকার রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করবে বলে জনমনে কুটনা রটাচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান রিপোর্টারকে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের টাকার অফার করেন। তার অন্যতম সহযোগী চাচাতো ভাই আবু হায়াত খাঁনও মোবাইলে টাকার অফার করেন। যার রেকর্ডও রয়েছে সংবাদ কর্মীর হাতে। সংবাাদটি একাধিক পত্রিকা ও অনলাইনে প্রচার হয়েছে বলেও জানাযায়। ঘটনাটি যদি সত্য না হতো তাহলে প্রশাসন শোকজ করলো কেন এমন প্রশ্ন এখন সর্বমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি), টংগীবাড়ী আবেদা আফসারী জানান, আমি অফিসের বাহিরে আছি তারা কি জবাব দিয়েছে না দেখে বলতে পারবোনা। আপনি সময় করে অফিসে এসে যেনে নিয়েন।
টংগীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক পাটোয়ারী বলেন, আমরা ভাইসচেয়ারম্যানকে শো কজ করেছিলাম। তারা অফিসে এসে শোকজের জবাবও দিয়েছে।
টংগীবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খাঁন রুবেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেহেতু সংবাদ প্রচার হয়েছে আমি দেখছি আইন প্রক্রিয়ায় কিভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়।
উল্লেখ্য, টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী মৌজার ৪৭৮ নং- খতিয়ানের এসএ ৬৩২,সিএস ৬৩২ এবং আরএস ৬৯৯ দাগে ভিপি কেইস ২৩৭/৬৮ মূলে আলহাজ আবু হায়াত খানের নামে ১৭ শতাংশ জায়গা লিজ দেওয়া হয়েছে। যা বাংলা ১৪২২ সাল পর্যন্ত নবায়ন আছে। লিজের অজুহাতে টংগীবাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা অনুমতিতে সরকারী জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে ভবন নির্মাণের মাধ্যমে জায়গাটি গ্রাস করতে চেষ্টা করেছিলেন।