খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দাউদ ইব্রাহীমের সহযোগী আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কিভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস। এখানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুই করার নেই।
তিনি বলেন, ‘দুটি মামলায় কারাভোগ শেষে আদালতের নির্দেশে দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
দাউদ মার্চেন্ট ভারতের প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে আত্মগোপন করেন দাউদ মার্চেন্ট। ২০০৯ সালের ২৭ মে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরই তাকে জেলগেট থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে যদি এই দেশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে ভিসা নিয়ে থাকতে হবে। তা না হলে তাকে চলে যেতে হবে। তিনি কীভাবে চলে যাবেন, তা ভারতীয় দূতাবাস সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তাকে পুশব্যাক করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাকে পুশব্যাক করার দরকার নেই। যা করার ভারতীয় দূতাবাস করবে।’
রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দাউদ মার্চেন্টকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়ার জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান। এরপর তার অবস্থান জানেন না বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান জানান, দাউদ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল। এসব মামলায় তার সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি কোথায় গেছেন তা আমাদের জানা নেই।’
একটি সুত্র জানায় কারাগারের গেটে সাদা পোষাকের একটি দল তাকে ফের আটক করে। তবে র্যাব, পুলিশের কোনও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি।
দাউদ মার্চেন্ট আইনশংখলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন কিনা তা তাকে আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তার বিষয়ে যা করার ভারতীয় দূতাবাসই করবে।’
ভারত ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতবছর নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আসামি প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার পরই দাউদ মার্চেন্টের অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ। ওই বৈঠকে ভারত তাদের জঙ্গি সংগঠন আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের নেতা মাওলানা মনসুর আলী হাবিবুল্লাহ, মুফতি ওবায়দুল্লাহ ওরফে আবু জাফর, মাওলানা এমাদুল্লাহ এবং কলকাতার সন্ত্রাসী জাহিদ শেখ ও আরিফ হুসাইনকে ফেরত চায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি দিপু, চট্টগ্রামের শিবির নেতা সাজ্জাদ হোসেন, চরমপন্থী নেতা মুক্তার হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে ফেরত চাওয়া হয়।দাউদ মার্চেন্টকে ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিউজ২৪ : সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দাউদ ইব্রাহীমের সহযোগী আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কিভাবে দেশে ফেরত পাঠানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস। এখানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুই করার নেই।
তিনি বলেন, ‘দুটি মামলায় কারাভোগ শেষে আদালতের নির্দেশে দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
দাউদ মার্চেন্ট ভারতের প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়। ২০০৯ সালে ১৪ দিনের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে আত্মগোপন করেন দাউদ মার্চেন্ট। ২০০৯ সালের ২৭ মে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরই তাকে জেলগেট থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সে যদি এই দেশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে ভিসা নিয়ে থাকতে হবে। তা না হলে তাকে চলে যেতে হবে। তিনি কীভাবে চলে যাবেন, তা ভারতীয় দূতাবাস সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তাকে পুশব্যাক করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাকে পুশব্যাক করার দরকার নেই। যা করার ভারতীয় দূতাবাস করবে।’
রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দাউদ মার্চেন্টকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়ার জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান। এরপর তার অবস্থান জানেন না বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান জানান, দাউদ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল। এসব মামলায় তার সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি কোথায় গেছেন তা আমাদের জানা নেই।’
একটি সুত্র জানায় কারাগারের গেটে সাদা পোষাকের একটি দল তাকে ফের আটক করে। তবে র্যাব, পুলিশের কোনও দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি।
দাউদ মার্চেন্ট আইনশংখলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন কিনা তা তাকে আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। তার বিষয়ে যা করার ভারতীয় দূতাবাসই করবে।’
ভারত ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গতবছর নভেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আসামি প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনার পরই দাউদ মার্চেন্টের অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ। ওই বৈঠকে ভারত তাদের জঙ্গি সংগঠন আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সের নেতা মাওলানা মনসুর আলী হাবিবুল্লাহ, মুফতি ওবায়দুল্লাহ ওরফে আবু জাফর, মাওলানা এমাদুল্লাহ এবং কলকাতার সন্ত্রাসী জাহিদ শেখ ও আরিফ হুসাইনকে ফেরত চায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি দিপু, চট্টগ্রামের শিবির নেতা সাজ্জাদ হোসেন, চরমপন্থী নেতা মুক্তার হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে ফেরত চাওয়া হয়।