Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬:  যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান কি কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে অভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন? কেবল একটি প্রশ্নে নয়; বরং একজন রাজনৈতিক নেতার সম্ভাব্য বহুবিধ পদক্ষেপের, বিশেষত পররাষ্ট্র ও অর্থনীতিবিষয়ক পদক্ষেপের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিষয়ে কি একমত হতে পারেন? আপাতদৃষ্টে তা অকল্পনীয়। কিন্তু তাঁরা নিজ নিজ বিবেচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি বিষয়ে যে মতামত দিয়েছেন তা কার্যত অভিন্ন। আর তার সারার্থ হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে তা হবে সারা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক। কমিউনিস্ট পার্টি ইউএসএর জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান জন বেকটেল ২১ অক্টোবর ‘পিপলস ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তাঁর এক লেখায় যা বলেছেন, তা সেই লেখার শিরোনামেই স্পষ্ট, ‘ট্রাম্প ইজ এ ডেঞ্জার টু দ্য ওয়ার্ল্ড, নট জাস্ট ইউএস’ (‘ট্রাম্প কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, সারা পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক’)।
আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লাগার্ড ৭ জুলাই ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের নামোল্লেখ না করে বলেছিলেন যে কোনো ধরনের সংরক্ষণবাদী, আইসোলেসনিস্ট (বা একাকী থাকার) মনোভঙ্গি সারা পৃথিবীর অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। লাগার্ড তাঁর বক্তব্যে স্মরণ করিয়ে দেন, অর্থনীতিতে সংরক্ষণবাদী নীতি বিশ্বজুড়ে এমন সংকটের সূচনা করতে পারে, যার পরিণামে বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। প্রাসঙ্গিকভাবে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন ১৯১৪ সালের কথা, যখন অর্থনৈতিক সংকটের পরিণতি হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ১ নভেম্বর আটজন নোবেল বিজয়ীসহ ৩৭২ জন অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে ট্রাম্পকে ‘বিপজ্জনক’ বলেই বর্ণনা করেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভিন্ন ভিন্ন মতের মানুষেরা যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে ‘বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করছেন, তাঁদের যুক্তি নিশ্চয় একেবারে অভিন্ন নয়। একই সঙ্গে এসব কথাকে কেবল কথার কথা, রাজনৈতিক প্রচারণা বলে বাতিল করে দেওয়া সমীচীন হবে না।
যখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আর কয়েক ঘণ্টা বাকি, যখন দেশের মোট সম্ভাব্য ২০ কোটির বেশি ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন, তখন আমেরিকার বাইরে যাঁরা এই নির্বাচন ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছেন, তাঁদের বিবেচনায় এ বিষয়টি থাকা দরকার ট্রাম্পের বিজয়ের অর্থ কী হবে, কেন তাঁর প্রেসিডেন্সিকে বিপজ্জনক বলেই বিবেচনা করা দরকার। এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা দেশের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে প্রার্থীর অবস্থানকে নির্ণায়ক হিসেবে ব্যবহার করেছেন তার উদাহরণ নেই। পররাষ্ট্রনীতি বিষয় যে এত দিন নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করেনি, তার কারণ হচ্ছে এই যে দুই প্রধান দলের মধ্যে পররাষ্ট্রনীতিতে মৌলিক পার্থক্য খুব কম এবং তাঁরা বিবেচনায় রেখেছেন যে জাতীয় স্বার্থ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
এই অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয় ২০০৪ সালের নির্বাচনের ভেতর দিয়ে। জর্জ বুশের প্রশাসনের ভূমিকা, বিশেষত প্রেসিডেন্ট বুশ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির কার্যকলাপ দেখিয়ে দেয় যে যদি কংগ্রেসের সদস্যরা তাঁদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ বা অনুৎসাহী হয়, তবে সংবিধানের ফাঁক গলিয়ে প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্র এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কতটা ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন। এই তাগিদ সত্ত্বেও এবারের নির্বাচনে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে আলোচনা একেবারেই হয়নি। তার কারণ বিস্তারিত বলার অবকাশ নেই, পাঠকেরা তা ভালো করেই জানেন—এবারের নির্বাচনে কার্যত কোনো নীতির প্রশ্নই আলোচনা হয়নি। অতীতেও প্রার্থীরা নীতি এবং আদর্শ বিষয়ে যতটুকু আলোচনা করেন তাঁর সামান্যও এবার হয়নি। কিন্তু অন্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় তা হওয়ার দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি। কেননা অন্য সময় দুই প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট থাকেন, পাবলিক সার্ভিসে থাকেন; ফলে অনেক বিষয়েই তাঁর নীতি ও অবস্থান আমাদের জানা থাকে। কিন্তু এবার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প কখনোই পাবলিক সার্ভিসে থাকেননি, বিপরীতক্রমে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের অবস্থান ও কার্যকলাপের সঙ্গে সবারই পরিচয় আছে—তাঁর সঙ্গে ভিন্নমতের সুযোগও আছে।
এই নির্বাচন-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য থেকেই আমরা তাঁর পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রতিরক্ষানীতি বিষয়ে জেনেছি। এসব বক্তব্যকে একত্র করলে আমরা দেখতে পাই, তাঁর নীতি হবে বিশৃঙ্খল, আবেগতাড়িত, অনিশ্চিত বা অভূতপূর্ব। কার্যত যুদ্ধংদেহী এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এ বিষয়ে কিছু উদাহরণ আমাদের সাহায্য করবে। ট্রাম্প তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় এটা স্পষ্ট করেই বলেছেন যে তিনি সন্ত্রাসী সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের ওয়াটার বোর্ডিংসহ নিপীড়নকে (টর্চার) সঠিক এবং সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের পরিবারের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যাকে যথাযথ বলে মনে করেন। পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে তাঁর অজ্ঞতার একাধিক প্রমাণ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। যেমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, তিনি এর ধ্বংসাত্মক দিক নিয়ে বেশি উৎসাহী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, যেকোনো সংঘাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাকে তিনি বাতিল করতে রাজি নন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘আমরা কেন এগুলো ব্যবহার করতে পারব না?’ (হোয়াই কান্ট উই ইউজ দ্যাট?)। মধ্যপ্রাচ্যে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ‘ট্যাকটিক্যাল উইপন’ বা সীমিতভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পক্ষেও তাঁর মত। তিনি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার নিরোধ চুক্তির বিষয়ে উৎসাহী নন। ইরানের সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিরোধবিষয়ক চুক্তিকে তিনি অগ্রাহ্যই করেন না, তা বাতিলের পক্ষে এবং তিনি মনে করেন যে জাপান, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। এই নীতি সারা পৃথিবীতে পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের যে পরিবেশ তৈরি করবে তা হবে ভয়াবহ। তিনি দেশের প্রচলিত সমরাস্ত্র বৃদ্ধি এবং সামরিক বাহিনীর আকার বড় করার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন এবং তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করবে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার; যা শুধু দেশের অর্থনীতির জন্যই ক্ষতিকারক নয়, সারা বিশ্বের জন্যই উদ্বেগের কারণ হওয়ার বিষয়।
ট্রাম্প তাঁর প্রচারাভিযানের সময় কেবল অভিবাসীদের বিরুদ্ধেই অবমাননাকর বক্তব্য দেননি, তিনি মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরে তার বদলে ‘অতিরিক্ত নিরীক্ষা’র কথা বলেছেন। এটি যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ হবে তা নয়, এটির প্রভাব পড়বে তাঁর পররাষ্ট্রনীতিতেও—একদিকে তা ইসলামপন্থী আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর প্রচারণাকেই সাহায্য করবে, অন্যদিকে তা মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে একধরনের টানাপোড়েনের কারণ হবে। প্রাসঙ্গিকভাবে বলা দরকার যে তিনি বলেছেন, তিনি মনে করেন ‘মুসলিম বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত আছে’। এ কথা ঠিক যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর নীতির বড় আকারের পার্থক্য নেই, কিন্তু দুটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য—প্রথমত, তাঁর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে আনবে, যা জেরুসালেমের ওপরে ইসরায়েলের দাবির সমর্থন; দ্বিতীয়ত, রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনে এই নির্বাচনের যে প্ল্যাটফর্ম গৃহীত হয়েছে তাতে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হিসেবে দুই-রাষ্ট্রনীতি বাদ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশ্নে রিপাবলিকান পার্টির চেয়েও কট্টর অবস্থান নিয়েছেন। ২০১২ সালে তাঁর এক টুইটে তিনি ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’কে চীনের ধাপ্পাবাজি বলে বর্ণনা করেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, প্রচারাভিযানের সময় তিনি বলেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসবে।
এসব এমন এক নীতিমালার ইঙ্গিত দেয়, যা পৃথিবীর যেকারও জন্যই উদ্বেগের বিষয় এবং ট্রাম্পকে বিপজ্জনক বলাই যথার্থ। মনে রাখা দরকার, ট্রাম্প যে সংরক্ষণবাদী অর্থনৈতিক নীতিমালার কথা বলেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা হ্রাস পাবে এবং তাতে করে এ ধরনের উগ্র পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের পথ উন্মুক্ত হবে। তাঁর নির্বাচনের লোকরঞ্জনবাদী বা পপুলার কথাবার্তা এবং আচরণ ইঙ্গিত দেয় যে তিনি গোটা বিশ্বকেই তাঁর শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করে দেশে একধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারবেন এবং তাতে পিছপা হবেন না। বিশ্বযুদ্ধগুলোর আগে আমরা তাই দেখতে পেয়েছি, যে কারণে আইএমএফ-এর প্রধান যখন ১৯১৪ সালের কথা স্মরণ করেন তখন তা অতিরঞ্জন মনে করার কারণ নেই।
এই পর্যায়ে এসে কেউ কেউ হিলারিকে ‘যুদ্ধবাজ’ বলে চিহ্নিত করার চেষ্টার দিকে আমার মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। তাঁর কারণও আমরা জানি। ফার্স্ট লেডি হিসেবে হিলারি যুগোস্লাভিয়ায় মার্কিনি সামরিক অভিযান সমর্থন করেছেন, সিনেটর হিসেবে তিনি ইরাক যুদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে সৈন্য বৃদ্ধি সমর্থন করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২০১১ সালে লিবিয়ায় অভিযানের পক্ষে ছিলেন এবং তিনি সিরিয়া সংকটের শুরুতেই মার্কিনি সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু এসবের পাশাপাশি এটাও স্মরণ করা দরকার যে তিনি বারবার বলেছেন, সামরিক সমাধানের পরিবর্তে তিনি আলোচনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘নরম শক্তি’ (সফট পাওয়ার) প্রয়োগের পক্ষে। তাঁর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বিষয় চুক্তি, যার আলোচনা শুরু হয় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়েই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পথ বেছে নিয়ে সম্পর্ক ‘রিসেট’-এর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পক্ষে থেকেছেন এবং ভূমিকা রেখেছেন। দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা প্রশমনে তাঁর নীতি হিসেবে আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগকে আমরা দেখতে পেয়েছি। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কেবল সামরিক ব্যবস্থা যে অপ্রতুল এবং তার বিকল্প হিসেবে তিনি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা বলেছেন। কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তাঁর লেখায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে হিলারি ক্লিনটন পেন্টাগনের প্রস্তাবিত এক ট্রিলিয়ন ডলারের অস্ত্র আধুনিকীকরণের পরিকল্পনার ব্যাপারে তাঁর সংশয় প্রকাশ করেছেন। ফলে পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে হিলারিকে ‘যুদ্ধবাজ’ বলার মধ্যে কেবল তাঁর একটি আংশিক দিককেই তুলে ধরা হয়, তদুপরি এসব নীতির ক্ষেত্রে কেবল তাঁর ভূমিকাই ছিল তা মনে করাও সঠিক নয়।
ট্রাম্পের যে কথাটি তাঁর পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট করে দেয় তা হলো, ইরাক ও লিবিয়ার তেল ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে তাঁর বক্তব্য; তিনি বারবার এগুলো দখল করে তা থেকে তেল উত্তোলন করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইনে তা যে অকল্পনীয় এবং কোনো দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি, সেই সামান্য বিষয়ে তাঁর অজ্ঞতা বা অনীহাই তাঁর নীতির বিপদ বোঝার জন্য যথেষ্ট। প্রথম আলো
আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভারসিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।