খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬: তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা। গত দুই, তিন মাস যাবৎ পুরান ঢাকার গোপীবাগ, টিকাটুলী, আর কে মিশন রোড, স্বামীবাগ, মানিকনগর, ভোলানাথগিরি মন্দির, সূত্রাপুরের এস কে দাস রোড, বানিয়ানগর, ঠাকুর দাস লেন, পাতলা খান লেন, গেন্ডারিয়ার বিভিন্ন স্থানে গ্যাস-সমস্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সূত্রাপুর, শ্রীশ দাস লেন, শাঁখারীবাজার, পানিটোলা, যদু বসাক লেন, গোয়ালনগর, তাঁতীবাজারের কিছু অংশের বাসিন্দাদের অনেকেই তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছেন।
নিদারুণ গ্যাস সংকটে পড়েছেন নয়াবাজার ও সামসাবাদ লেনের বাসিন্দারাও। কয়েক হাজার পরিবারের চুলা জ্বলছে না। অনেকে মাটির চুলা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার কিনে নৈমিত্রিক চাহিদা মেটাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর অফিসে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। তিতাস গ্যাস ট্যান্সমিসন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, এই এলাকার বহু বছরের পুরনো গ্যাসের পাইপ লাইনে প্রলেপ জমাট বেঁধেছে। ফলে এই গ্যাস সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
গোপীবাগের এক বাসিন্দা বলেন, গত ৩ মাস ধরে এলাকায় গ্যাস নেই। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চুলায় একেবারে গ্যাসের চাপ থাকে না। তাই রান্নার কাজ একেবারেই করা যাচ্ছে না।
এছাড়া মিরপুরের ১৪ নম্বর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভবনগুলোতে, ওয়েসবি হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, তেজতুরী বাজার, তেজগাঁও, বেগুনবাড়ি, মধ্যবাড্ডার মোল্লাপাড়া, মোহাম্মদপুর আজিজ মহল্লা, নিউ ইস্কাটনের কিছু বাড়িতে গ্যাসের চাপ কম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সামসাবাদ লেনের এক বাসিন্দা বলেন, সকাল ৭টার পর থেকে ক্রমাগতভাবে চুলায় গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। ৮টার পর আর চুলা জ্বলে না। বিকাল সাড়ে তিনটার পর আবার পাইপ লাইনে হালকা গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে।
এভাবেই প্রতিদিন যুদ্ধ করে এ অঞ্চলের মানুষদের রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে তারা তিতাস গ্যাস অফিসে গণধরর্না দিচ্ছেন। কিন্তু সংকটের কোনই উত্তরণ হচ্ছে না।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) মো. আলী আশরাফ বলেন, গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে, সে অনুযায়ী সরবরাহ পাচ্ছি না। তাই চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিতরণ করা যাচ্ছে না। যা বরাদ্দ পাচ্ছি তাই সরবরাহ করছি। কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, যে সব এলাকায় গ্যাসের চাপ কম, সে সব এলাকায় চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবো। আমাদের সময়.কম