খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬: পাগল আখ্যায়িত করে গত ১০ দিন যাবত এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে তালাবদ্ধ করে রেখেছে ভাসুর ও তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে শিকল বন্ধি থেকে মুক্ত করেছেন। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামের।
জানা গেছে, ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী বাবুল বৈদ্যর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ময়না বৈদ্যকে (৩৫) রহস্যজনক কারণে গত ১০দিন ধরে তার ভাসুর বিপুল বৈদ্য ও তার পরিবারের সদস্যরা পাগল আখ্যায়িত করে বসত ঘরের একটি কক্ষে লোহার শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে আটক করে রাখে।
খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলতে গেলে গৃহবধু ময়না তালাবদ্ধ অবস্থায় গ্যাসের চুলায় ভাত রান্না করার সময় জানান, সে পাগল নয়। তার স্বামী দীর্ঘদিন থেকে দুবাইতে রয়েছেন। বিদেশ থেকে তার স্বামী যে টাকা পয়সা পাঠায় তার ভাসুর বিপুল বৈদ্য ও শ্বাশুরী গোলাপী রানী ওই টাকা আত্মসাত করার জন্য তাকে পাগল আখ্যায়িত করে গত দশদিন থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। তিনি আরও জানান, তার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার শ্বাশুরী ও ভাসুর খুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি জনৈক এক চিকিৎসককে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ইনজেকশন পুশ করানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়নার বৈদ্যর অভিযুক্ত ভাসুর বিপুল বৈদ্য জানান, ময়না একজন পাগল। তাকে চিকিৎসার জন্য শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। তবে কোন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে তা জানতে চাইলে তিনি ওই চিকিৎকের নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। চিকিৎসার ব্যাপারে বিপুল আরও জানান, স্থানীয় কালাম মোল্লা ও মনির মোল্লা ময়নার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা থানা পুলিশকে অবহিত করলে ওইদিন সন্ধ্যায় থানার এসআই শাহজালাল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিকলে আটক গৃহবধু ময়নাকে অবমুক্ত করে তার সু-চিকিৎসার জন্য ওই পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন।