খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬:
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট তিন শহরে মধ্যরাতের ভোটে হিলারির চেয়ে এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউএসএ টুডের এক খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।
তিনটি শহর হলো ডিক্সভিলি নচ, হার্টস লোকেশন ও মিলসফিল্ড। তিন শহরে মোট ভোটার ১০০ জনের কম। এর মধ্যে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩২ আর হিলারি পেয়েছেন ২৫ ভোট।
ডিক্সভিল নচে মোট ভোটার আটজন। সেখানে হিলারি ক্লিনটন ৪-২ ভোটে ট্রাম্পকে হারান। হিলারির এ জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল ডিক্সভিল থেকে সামান্য বড় শহর হার্টস লোকেশনেও। সেখানে হিলারি পান ১৭ ভোট। আর ট্রাম্প ১৪ ভোট। কিন্তু মিলসফিল্ডে ট্রাম্পের কাছে ভোটে ব্যাপক মার খেয়ে যান হিলারি। এই শহরে ট্রাম্প হিলারির ভোটের চার গুণ ভোট পান। ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ ভোট। আর হিলারি ৪।
কানাডা সীমান্ত থেকে ১০ মাইল দক্ষিণে ডিক্সভিল নচে ১৯৪৮ সাল থেকে অন্যান্য রাজ্য থেকে আলাদা সময়ে ভোট দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫২ সালে ভোট দেওয়ার সময়টি একবার পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৪ সাল থেকে তাঁরা আবার নির্বাচনের দিন রাত ১২টা ১ মিনিটে ভোট দিয়ে আসছেন।
সিবিএসের নতুন সাপ্তাহিক জরিপে দেখা গেছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৪ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে। হিলারির সমর্থক ৪৫ শতাংশ আর ট্রাম্পের সমর্থক ৪১ শতাংশ।
সিবিএস জরিপে বলা হয়, ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ পুরুষ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে যাঁদের কলেজ ডিগ্রি নেই, তাঁদের এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। অন্যদিকে, হিলারি নারী, আফ্রিকান-আমেরিকানস ও তরুণ ভোটারদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। এ ছাড়া শেতাঙ্গদের মধ্যে যাঁরা কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছেন, তাঁদেরও সমর্থন রয়েছে তাঁর প্রতি।
রিয়েলেক্লিয়ারপলিটিকস জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প হিলারির চেয়ে ২ শতাংশ ভোটে পিছিয়ে।
একটি বার্তা সংস্থার তথ্যমতে, অন্তত ৪ কোটি ৪৯ লাখ মানুষ মেইল বা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আগাম ভোট দিয়েছেন।