খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৬ :দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) তালিকা বাতিল সংক্রান্ত আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
৬২ পৃষ্ঠার রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় কিছু সংশোধনসহ সরকারের আপিল নিষ্পত্তি করেন।
সরকারের কার্যপ্রণালী বিধি (রুলস অব বিজনেস) অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকার তা ২০০০ সালে সংশোধন করে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আবেদনে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে দাবি করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সরকারের প্রণীত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল ঘোষণা করে আট দফা নির্দেশনা দেয়।
হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন, সকল সাংবিধানিক পদ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে থাকবে। এরপর সংবিধান স্বীকৃত পদসমূহ যেমন: জেলা জজ, তিন বাহিনী প্রধান স্থান পাবে। এরপর যারা জেলা জজ পদমর্যাদার পদ ধারণ করেন, এরপর অতিরিক্ত জেলা জজ, এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এরপর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এরপর সচিবরা থাকবেন।
প্রজাতন্ত্রের সচিবদের সমমর্যাদা পাবেন জেলা জজরা। তবে সাংবিধানিক পদধারী হওয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা একই পদমর্যাদায় থাকলেও নামের সিরিয়ালে আগে থাকবেন। দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) তালিকা বাতিল সংক্রান্ত আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমনটিই বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জেলা জজ পদকে শুধু নির্ধারিত জেলার মধ্যে প্রযোজ্য বলে গণ্য করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।