খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৬:
ঢাকাকে ঘিরে প্রবাহিত হওয়া নদীগুলোর তীর দখল করে গড়ে উঠা ১৩টি স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৩তম সভায় সচিবালয়ে রোববার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভা শেষে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদের কাজ শুরু আমরা করেছি। তবে এসব স্থাপনার মধ্যে ১৩টি স্থাপনা খুব দ্রুততার সঙ্গে অপসারণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, দখলকারীরা যত শক্তিশালী হোক, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাব। কয়েকটি নামও এসেছে, এ ১৩টির মধ্যে অনেকে হয়তো বড় বড় স্থাপনার মালিক রয়েছেন, সেগুলোকেও কিন্তু আমরা উচ্ছেদ করব।
তিনি বলেন, নদীর যে সীমানা পিলারগুলো নিয়ে আপত্তি ছিল সেগুলোর জন্য আমাদের নকশার প্রয়োজন। সেই নকশাগুলো ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এটা এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা পৌঁছে দেব।
শিগগিরই জেলা প্রশাসকরা এ নকশার ভিত্তিতে নদীর আপত্তিজনক সীমানায় চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও জানান শাজাহান খান।
সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় নতুন করে অবৈধ দখলের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের একটি পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেব। সেটি হল, ফের জরিপকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সব এলাকায় মাটি ভরাট বা কোনো ধরনের স্থাপনা করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘নদীর পাড়ের যে জায়গাগুলোর খাজনা বি আইডব্লিউটিএ নিয়ে থাকে, দেখা যায় তহশিল অফিসে গিয়ে এ জমির দাবিদার অনেকে খাজনা দিয়ে থাকে। তাদের খাজনা যাতে না নেয়া হয় সেজন্য তহশিলদারদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হবে।’
সীমানা পিলারের ডিজাইনের ব্যাপারে সভায় একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে নৌ পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে তার অধিকাংশ অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে সরিয়ে নিয়েছে। পিলার উপরের অংশে যে লোহার পাইপ দেয়া হয়েছে তা কেটে নেয়া হয়েছে। আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ সীমানা পিলারগুলো আরও শক্তভাবে করব। উপরের অংশে যেখানে পাইপ থাকে এটা আরসিসি দিয়ে করা, যাতে কেউ কেটে নিতে না পারেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণকে নিয়ে কমিউনিটি কমিটি করা হবে। যে যে জায়গা আমরা উচ্ছেদ ও অপসারণ করব সেসব জায়গায় যাতে কেউ দখল করতে না পারে সেজন্য স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এতে মিটিং করার পরও নদী দখল রোধে তেমন সাফল্য নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনবল নেই, আমাদের শক্তিও কম। উচ্ছেদে যে যন্ত্রগুলো দরকার সেগুলোও আমাদের ছিল না। আধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে আমরা এটা শুরু করেছি।