খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৬: ইনিংস ঘোষণা করতে কেন এত দেরি করলেন অ্যালিস্টার কুক, দিনের শেষে এ প্রশ্নটা উঠলই। নিজেদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে কুক যখন ইনিংস ঘোষণা করলেন, তখন ম্যাচে ফল আসার ভাবনাটাও বেশ কঠিন। জয়ের জন্য দিনের বাকি ৪৯ ওভার থেকে ভারতকে করতে হতো ৩১০। যেকোনো বিচারেই ব্যাপারটা ছিল প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য।
কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই কাঁপল ভারত। আদিল রশিদের দারুণ বোলিংয়ে পড়েছিল হারের শঙ্কায়। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর রবীন্দ্র জাদেজার দৃঢ়তায় এ যাত্রায় বেঁচে গেল ভারত। ম্যাচটা ড্র হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট হারের পর আন্ডারডগ হিসেবে সিরিজ শুরু করা ইংল্যান্ড চাইলে এতেই খুঁজে নিতে পারে জয়ের আনন্দ।
গৌতম গম্ভীর আর চেতশ্বর পূজারাকে ফিরিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ক্রিস ওকসের বলে শূন্য রানেই স্লিপে জো রুটের হাতে ধরা পড়েন গম্ভীর। পূজারা ফেরেন রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। দিনের শেষ সেশনে মুরালি বিজয়, অজিঙ্কা রাহানে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ঋদ্ধিমান সাহাকে ফিরিয়ে ক্রিকেট-রোমান্টিকদের নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে ইংলিশ বোলাররা। এ সময় হয়তো মনে মনে কুক আফসোসই করছিলেন—আর একটু আগে যদি ইনিংসটা ঘোষণা করতেন! তবু সুযোগ ছিল। এক দিক আগলে রেখেছিলেন কোহলি, অন্যদিক দিয়েও সুযোগটা আসতে পারত। কিন্তু জাদেজার দৃঢ়তায় সেটি সম্ভব হয়নি। চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রইলেন ৩২ রানে।
জাদেজা ভালো খেলেছেন কিন্তু শেষ দিনে ভারতের ধসটা মূলত ঠেকিয়েছেন কোহলি আর অশ্বিন। কোহলি ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ৯৮ বল খেলে। অশ্বিন ৫৩ বলে করেছেন ৩২ রান।
প্রথম ইনিংসে ফিফটির সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচানো ব্যাটিং—ব্যাট হাতে রাজকোটে অশ্বিন যতটা সপ্রতিভ ছিলেন, আসল কাজের বেলায় অর্থাৎ বোলিংয়ে ঠিক ততটাই নিষ্প্রভ ছিলেন এই অফ স্পিনার। গোটা টেস্টে তাঁর উইকেট মাত্র তিনটি—ইংল্যান্ডের নৈতিক জয়টা মূলত এখানেই। আজ পঞ্চম দিনে অশ্বিনকে অ্যাকশন পরিবর্তন করে বোলিং করতে হলো—ব্যাপারটা চিন্তা করে তৃপ্তি পেতেই পারে ইংলিশ দল।