খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৬:
একাদশ সাজানো নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দলের মালিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই দ্বন্দ্ব চরমে রূপ নিয়েছিল গতকাল এবং এতটাই যে, হোটেল থেকে রাগ করে বাসায় চলে আসেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক মাশরাফি।
খোদ দলটির মূল কর্ণধার পরিকল্পনা মন্ত্রী ও সাবেক বিসিবি এবং আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালের হস্তক্ষেপে এবং অনুরোধে রাগ কমে মাশরাফির। কে জানে ভিতরে হয়তো রাগটা রয়েই গেছে! ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর তো বটেই মাশরাফির রাগ দলের ব্যাটসম্যানদের উপরও। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে টানা হারের গ্লানি তার কাঁধে। অথচ তিনি তিন বার শিরোপা জিতিয়েছেন দলকে। ব্যাটসম্যানদের কারণে তাকে আজ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। সব মিলিয়ে গতকাল দুপুর থেকে তার মুড ভালো ছিল না।
তবে খেলার মাঠে সেটা কাউকে বুঝতে দেননি মাশরাফি। মাঠে অনেকটা স্বাভাবিকই ছিলেন তিনি। বল হাতে সুবিধে করতে পারেনি। শুধু তিনি একা নন, রশীদ খান ছাড়া সবাই ছিলেন ব্যর্থ। ওভার প্রতি মাশরাফি দিয়েছেন প্রায় দশ করে রান। দুপুরের ওই ঘটনা, বোলিংয়ে মার খাওয়া এবং ব্যাটসম্যানদের টানা ব্যর্থতায় তেঁতে ছিলেন মাশরাফি। সেই ঝাঁঝটা টের পেলেন সাকিব আল হাসান। সব রাগ সাকিবের উপর ঝাড়লেন অধিনায়ক!
৯ নম্বরে যখন ব্যাট করতে এলেন তখন কোনো আশা নেই কুমিল্লার। ৮ উইকেট পড়ে গেছে ১১১ রানে, ওভার ১৫.৪। তারপরেও টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের শিক্ষা দিয়ে ধেই ধেই করে রান করতে থাকলেন ম্যাশ। সঙ্গে পেলেন দশ নম্বর ব্যাটসম্যান শফিউদ্দিনকে। ১৯তম ওভার করতে আসেন সাকিব আল হাসান। ভালো বল ছিল প্রথমটা। কিন্তু সেটাকে লং অনের উপর দিয়ে সীমানার উপরে পাঠিয়ে দিলেন মাশরাফি।
পরের বলে রান না হলেও তৃতীয় বলে আবার ছক্কা। এবারও লং অনের উপর দিয়ে। চার নম্বরে বলে রান হলো না। পঞ্চম বলে ফের বিশাল ছক্কা। মজার ব্যাপার হলো, এবারও সেই লং অনের উপর দিয়ে। ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সাকিবকে পাগল করে দেন মাশরাফি। এক ওভার থেকে ২৪ রান। ৩৫ বলে ৪৭ রানে আউট হন মাশরাফি।