Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
unnamedখোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৬: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের জাতীয় রাজনীতির অহংকার মওলানা ভাসানী নির্যাতিত-নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর সংগ্রামের মধ্যদিয়েই অতিক্রম করেছেন সারাটা জীবন। তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তিনি বলেছেন, ৪৭ পূর্বে বৃটিশ বিরোধী আজাদী আন্দোলন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৭১ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরোধী লংমার্চে কোথায় নেই ভাসানী ? তিনি প্রশ্ন করেন কেন মওলানা ভাসানীর প্রতি এত অবহেলা ? ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে, দেশের স্বার্থে-মানূষের স্বার্থে।

জনাব নজরুল ইসলাম খান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপ মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ছড়াকার আবু সালেহ, গণ সংস্কৃতি দলের সভাপতি এস.আল-মামুন, এনপিপি মহাসচিব ফিরোজ মোঃ লিটন, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, এনডিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, জিল্লূর রহমান পলাশ, আলী নূর নাদিম, মুক্তা আক্তার, তাছলিমা আক্তার প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মওলানা ভাসানী আমৃত্যু তিনি আধিপত্যবাদ বিরোধী লড়াই আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন। তিনি বলেন, নাসির নগরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, গাইবান্ধায় সাওতালদের উপর হামলা সকল কিছুর সাথেই আওয়ামী লীগ জড়িত। আর সরকার প্রকৃত অপরাধিদের আড়াল করতে বিভিন্ন নাটক সাজাচ্ছে। প্রকৃত অপরাধিদের আড়ালের চেষ্টা সরকারের জন্যই বুমরাং হয়ে উঠবে। বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রহীন, ভোটবিহীন সংসদ।
সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আপোষহীন রাজনীতি ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো অত্যাচারী শাসকশ্রেণির, স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিলো সাধারণ মানুষকে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষকেই অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম করেছেন আজীবন তিনি।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, মওলানা ভাসানী রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাননি বটে, তবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অনুঘটক ছিলেন। আজ মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু, ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন মওলানা ভাসানী দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহীর নাম, মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানির নাম মওলানা ভাসানী। তিনি বলেন, মজলুম জননেতা ৯৬ বছর বয়সে ১৯৭৬ সালের ১৬মে ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করেছিলেন। যা এখন ধারন করছে। মওলানা ভাসানীর ধানের শীষ প্রতিক মশিউর রহমান যাদু মিয়া শহীদ জিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সুতরাং তাদের অনেক বেশী দায়িত্ব। মওলানা ভাসানীকে তাদের ধারন করতে হবে, তাহলেই মুক্তি। তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ২৩ নভেম্বর মওলানা ভাসানীই প্রথম স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। এই ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।