খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৬: চট্টগ্রামে এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচটি আবার ঘরের দল চিটাগং ভাইকিংসের। জহুর আহমেদের গ্যালারিতে দর্শকের উপস্থিতিও তাই কম ছিল না। কিন্তু সেই দর্শকদের শুধু হতাশাই উপহার দিল ঘরের দল। নিজেদের মাঠে এসেও হারের বলয় থেকে বেরোতে পারল না চিটাগং ভাইকিংস।
বৃহস্পতিবার ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ১৯ রানে হেরেছে তামিম ইকবালের চিটাগং। ২০ ওভারে ঢাকার ৯ উইকেটে করা ১৪৮ রানের জবাবে চিটাগং ৮ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি।
এ নিয়ে টানা চতুর্থ ম্যাচ হারল জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা চিটাগং। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান আগের মতোই ষষ্ঠ। ৫ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত করল সাকিব আল হাসানের ঢাকা।
১৪৯ রান তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় চিটাগং। দলের ১৩ রানেই রানআউটে কাটা পড়েন জহুরুল ইসলাম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম আর এনামুল হক বিজয় দলকে ৩৮ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিজয় (১৭) নাসিরের বলে সেকুগে প্রসন্নকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে এ জুটি।
তবে আশার বাতি হয়ে জ্বলে ছিলেন তামিম। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৬ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোর বলে মোসাদ্দেককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চিটাগং অধিনায়ক। এরপর মাহমুদুল হাসান (২০), মোহাম্মদ নবী (১৫) ও গ্র্যান্ট এলিয়ট দ্রুতই ফিরলে ১০০-এর আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় স্বাগতিক দল। পরের ব্যাটসম্যানরা কেবল দলের হারের ব্যবধানই কমাতে পারেন। ২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার মোহাম্মদ শহীদ।
এর আগে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন চিটাগং অধিনায়ক তামিম। তবে শুরুতে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঠিক জবাব দিতে পারেননি চিটাগংয়ের বোলাররা।
আগের ম্যাচে ৩৯ বলে ৬০ করা মেহেদী মারুফ টাইমল মিলসের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মারেন টানা দুই চার। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মিলসের পরের ওভারেও মারেন দুই চার। শুভাশিষ রায়ের করা পরের ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় তোলেন ১৬ রান। তাতে ৪ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৮। পরের ওভারে বিধ্বংসী হয়ে ওঠা মারুফকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ২০ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় মারুফ করেন ৩৩ রান।
তিনে নামা নাসির হোসেন প্রথম বলেই নবীকে এক্সট্রা কভার দিতে চার মেরে রানের খাতা খোলেন। পরের ওভারে মাহমুদুল হাসানকে ‘কাউ কর্নার’ ও স্লগ সুইপে মারেন আরো দুই চার। তবে কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে নাসিরের ৩১ রানের জুটি ভাঙার পরই পথ হারায় ঢাকা। একই ওভারে দুজনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মিলস। নাসির করেন ১৪ বলে ২০, সাঙ্গাকারা ২২ বলে ১৭।
অধিনায়ক সাকিব আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ৭ বলে ১৩ রান করে নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। পরের ওভারে রানআউটে কাটা পড়েন ডোয়াইন ব্রাভো। ১ উইকেটে ৭২ থেকে ঢাকার স্কোর তখন ৫ উইকেটে ১০০। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ছাড়া (২৬ বলে ৩৫) আর কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারায় শেষ পর্যন্ত দেড়শ’ও করতে পারেনি ঢাকা। চিটাগংয়ে হয়ে মিলস ও নবী নেন ৩টি করে উইকেট।