Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3k-: নাজিম হাসান :- খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৬: গ্রাম-বাংলার জনপথে এক সময় গরু মহিষের গাড়িই যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ গরুর গাড়ি চালক (গাড়িয়াল) ভাই না থাকায়, হারিয়ে যাচ্ছে চিরচেনা গাড়িয়াল ভাইয়ের কন্ঠে সেই অমৃত মধুর সুরের গান। পায়ে চলার পথে মানুষ পশু চালিত গরুমহিষের গাড়ি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ও বানিজ্যের পণ্য পরিবহন প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহার করত। একসময় পণ্য পরিবহন ছাড়াও গ্রাম-বাংলায় বিবাহের বর-কনে বহনেও বিকল্প কোন বাহন ছিল না। কিন্তু কালের পরিবর্তনে আজ গরুমহিষের গাড়ি শুধুই স্মৃতি আর স্মৃতি! তবে গরু মহিষ গাড়ির পাশাপাশি ঘোড়ার গাড়িও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু তা গরুর গাড়ির তুলনায় কম। ঘোড়ার গাড়ি বাণিজ্যিক ভাবে পরিবহণ ছিল দূরের যাত্রার জন্য। এক সময় কৃষকের বাড়ি বাড়ি এ গরুর গাড়ি ছিল বিভিন্ন ব্যবসা, ফসল মাঠে গরুর গবর জৈব সার হিসেবে ফসলি জমির উর্ভরতা বৃদ্ধির জন্য পরিবহণে, ফসল ঘরে তোলা বা বাজারজাত করণের জন্য পণ্য পরিবহণের পাশা-পাশি মানুষ পরিবহণ এর জন্য টোপরওয়ালা গাড়ি চোখে পড়ার মতো। তা আবার বিভিন্ন রঙে’র কারুকার্য শোভা পেত গরুর গাড়ি। এছাড়াও এই গরু মহিষকে চাষ কাজে ব্যবহার করা হতো এবং চাষ জমি ধান রোপণ এর আগে মাটি সমান করার ক্ষেত্রে বিকল্প কোন পথ ছিল না। এই গরুর ব্যবহার বিলপ্তির সাথে সাথে লাঙ্গল, জোঁয়াল, মই, গরুর গাড়িসহ চাকা, টোপর, এমনকি গাড়িয়াল ভাইয়ের গরু পিটানো লাঠি হারিয়ে গেছে। আর তাই চাষাবাদের কাজে গরুমহিষের স্থলে দখল করেছে প্রযুক্তির পাওয়ার টিলার। যান্ত্রিক আবিস্কার বা বিজ্ঞান প্রযুক্তির পরশে, কালের বিবর্তনে আজ গরু মহিষ কিংবা ঘোড়ার গাড়ির স্থলে দখল করে নিয়েছে- রিক্সা, ভ্যান, ভটভুটি, করিমন, নসিমন, অটো-বাইক (চার্জার), টেম্পু, বাস, মাইক্রো-বাস, ট্রাক ইত্যাদি।