খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬: শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের স্বল্প জমির দরিদ্র কৃষকরা সংকটে ছিল। বর্তমানে এই স্বল্প জমির দরিদ্র কৃষকরা নানা জাতের সবজি চাষ করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে সক্ষম হয়েছে। মৌসুম অনুযায়ী সময়াপোযুগী নানা জাতের সবজি চাষা করে। শীত মৌসুমের যে সমস্ত সবজি বাজারে চাহিদা রয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করে বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে তারা অনেক লাভবান হচ্ছেন। নানা সবজির মধ্যে লাউ চাষ করে বেশী লাভবান হচ্ছেন স্বল্প জমির কৃষকরা। কারণ লাউ চাষ করতে বাড়ির আঙ্গিনা কিংবা পতিত জমিগুলিতে অল্প খরচে চাষাবাদ করা যায়। তাই অনেক কৃষকরা এবার লাউ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে এবং বাজারে মূল্যও পেয়েছে ভাল।
প্রতিটি লাউ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। তাই অত্র অঞ্চলের লাউ চাষীরা লাউ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। এছাড়া অত্র অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে থাকে। ভালুকা গ্রামের লাউ চাষী আবু বক্কর জানান, এবার ২কাঠা জমিতে লাউ চাষ করেছি। কাঠা প্রতি ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। আর প্রতি কাঠায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অপরদিকে দুধনই গ্রামের রেনু মিয়া, ঝিনাইগাতীর জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, লাউ চাষের পাশাপাশি করলা, শসা, ঝিঙ্গা ও কদু চাষাবাদ করে বছর ব্যাপী এই সমস্ত সবজি বিক্রি করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা রোজগার করে। উল্লেখ্য, সবজি চাষী জাহাঙ্গীর মিয়া সবজি চাষের পূর্বে অনেক কষ্টে দিনাতি পাত করত। কিন্তু লাউ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করে এখন সে স¦াবলম্বী হয়েছে। তাই অত্র অঞ্চলের দরিদ্র ও স্বল্প জমির কৃষকরা দিন দিন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছে।
এব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব মো. কোরবান আলী জানান, এসমস্ত পরিত্যক্ত উঁচু ভূমিগুলি পানি সংকটের কারণে ধান-পাট চাষ করা সম্ভব হতো না। এই উঁচু ভূমিগুলি পতিত পড়ে থাকতো। আমাদের পরামর্শে স্বল্প জমির দরিদ্র কৃষক ও প্রান্তিক চাষীরা ধান-পাটের পরিবর্তে সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল চাষ করে তারা এখন নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে সংসারের স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে এনেছে।