খোলা বাজার২৪, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১৬: শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মনে করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করার কোনো উপায় নেই। সেই কারণে রাষ্ট্রপতির যে দায়িত্ব রয়েছে, তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক, তিনি কোনো দলভুক্ত মানুষ নন। উনার দায়িত্ব খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন এবং এ সর্ম্পকে আলাপ-আলোচনা শুরুর ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সারাদেশেই তীব্র সমালোচনা আছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায় এবং কমিশনকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করা যায় সেজন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিএনপির পক্ষে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবনা হচ্ছে জাতির উদ্দেশ্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। তাই খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাবটি বিএনপি অবশ্যই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। উনার কাছে প্রস্তাবটি পাঠানোর জন্য ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। যদিও আমরা এখনও সময় পায়নি। তবে আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করার জন্য তিনি সুযোগ করে দেবেন। সেই অপেক্ষায় আছে বিএনপি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, খালেদা জিয়া একজন দায়িত্বশীল জাতীয় নেতার মতোই নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করতে হবে এমসন না। আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই পরিবর্তনযোগ্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যাশা করি বিএনপির অবস্থান ও সিদ্ধান্ত রাতেই জানতে পারবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।