Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৬: আসছে ২৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট নেতারা তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত জোরলবিং অব্যাহত রেখেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে চলছে তোর জোর লবিং। তবে কেন্দ্রীয় ভাবে বিএনপি অংশ নিলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে বলে বিএনপি একটি সুত্র জানিয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এবারের নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে তোর জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে হেবিওয়েট প্রার্থী হওয়ার জোর লবিং করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। সু-শৃঙ্খল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টিতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর সমর্থকরা।

অন্যদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পেতে পোস্টার-ব্যানার ছাপিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাতিয়া থেকে নির্বাচিত তিনবারের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন লাতু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমেদ জাবেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মমিন বি.এসসি, জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ডা. এ.কে.এম জাফর উল্যাহ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সামছুদ্দিন জেহান, নোয়াখালী শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান সেলিম।

নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা হলেও তিনিই নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের দু:সময়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করে গেছেন। যদিও পরবর্তীতে নোয়াখালীর রাজনীতিতে আরেক সূর্য সন্তান বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর উদয় হয়েছে। বর্তমানে এ জেলায় একরামুল করিম চৌধুরীই হলেন জেলা আওয়ামীলীগের যোগ্য কান্ডারী।

খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের যে কাজ তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে করে যাচ্ছিলেন, তা আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি কাজ করতে চাই।’ জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমুলে ত্যাগের মুল্যায়ন করে আমাকে নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিবেন বলে আমি আশাবাদী।

নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিমধ্যে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের ২৩ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নিকট আবেদন করেছেন বলে একটি সুত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধডজন নেতা দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী বলে তৃণমুলের কর্মীরা তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। কর্মীরা মনে করেন শেষ পর্যন্ত যিনি দলীয় মনোনয়ন লাভ করবেন তিনিও হবেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের আগামীদিনের চেয়ারম্যান। তাই দলীয় প্রধানের সিদান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন দলের নেতাকর্মীরা।