খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৬: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যার কথা এলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবার।
দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
দিয়াজের বোন জুবেয়দা সারোয়ার চৌধুরী জানান, তারা মামলার আর্জিতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ এনেছেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শেষে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, কর্মী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরোব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি দিয়াজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন।
গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়ার পর সোমবার তার ময়নাতদন্ত হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এ ঘটনার পর তার অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করে, টেন্ডার নিয়ে জটিলতার জেরে দিয়াজকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
একই অভিযোগ জানিয়ে ‘হত্যায় জড়িতদের’ গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখায় দিয়াজের সমর্থক ছাত্রলীগকর্মীরা।
এরই মধ্যে বুধবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ বলেন, “প্রতিবেদনে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।”
তবে দিয়াজের পরিবার বুধবারই ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে মামলা করবে বরে জানায়।