খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৬: জনবল সঙ্কটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দেশ স্বাধীন এর আগে ১৯৬২ সালে স্থাপিত ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৩১শয্যা থেকে ২০০৭ সালে ৫০শয্যায় উন্নিত হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল। অপ্রতুল জনবল নিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ । এম্বুলেন্স ও এক্ররে মেশিন দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ অপ্রতুল জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩লাখ ২০ হাজার ২৮৫ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকলেও অদ্যাবধি বাড়ানো হয় জনবল। ৫০শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অপর্যাপ্ত জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। কতৃপক্ষের অবহেলায় কমপ্লেক এ উড়ানো হয়না জাতীয় পতাকা ।রোগীর চাপ দিন দিন বাড়ায় জনবল সংকটে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার দরিদ্র ও সাধারণ মানুষ।। কতৃপক্ষের অবহেলায় কমপ্লেক্র এ উড়ানো হয়না জাতীয় পতাকা ।
রোগীদের বেশীর ভাগ ওষধ কিনতে হয় দোকান থেকে। ডাক্তার সকালে একবার আসে আর কোন খোজ-খবর নেই।জরুরী রোগী হলেও ডাক্তার আসেনা। রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অনেকেরই অভিযোগ।
২/১টি ওষধ দেওয়া হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।ডাক্তার সকাল ১০টায় সময় একবার আসে।আমবা তো বিপদে পড়ে এখানে এসেছি বাহির থেকে যদি ওষধ কিনতে হয় তাহলে সরকারী হাসপাতালে এসে আমাদের কি লাভ বলে অভিযোগ করেন রোগীরা। ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ওপ:প: কর্মকর্তা,ডা: হিরম্ব কুমার রায় বলেন, মেডিকেল অফিসারের পদ সংখ্যা ৮টি মধ্যে কর্মরত আছে ২জন এর মধ্যে একজন ট্রেনিং আর একজন ছুটিতে। বর্তমানে কোন মেডিকেল অফিসার পদ শুন্য রয়েছে ।ঁজুনিয়ার কনস্যাটেন্ট পদ সংখ্যা ১০টি কর্মরত আছে ৩জন। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১০টির মধ্যে ডাক্তার আছে ৫জন। সিস্টার এর পদ ১৪ জন কর্মরত ৪জন। স্বল্পসংখ্যক ডাক্তার জনবল দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।