খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৬: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লায় গ্যাস সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। বাসাবাড়ি, হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত গ্যাসের চুলা বন্ধ হয়ে যায়। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস পাচ্ছে না অত্র এলাকার গ্রাহকরা। ফলে গৃহস্থালি কাজে স্বাভাবিক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।
‘গ্যাস চাই, গ্যাস চাই’ স্লোগানে ও নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের দাবিতে আজ শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জস্থ সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক, সানারপাড়, সাহেবপাড়া, সাইনবোর্ড ও ফতুল্লার ভূইগড়, রঘুনাথপুর ও সোনালী মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীরা বিশাল মানববন্ধন করেছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত এ দুর্ভোগের জন্য ভুক্তভোগীরা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় চোরাই সংযোগকে দায়ী করছেন। এতে অত্র এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এসব এলাকার গ্রাহক ক্রমেই ফুঁসে উঠছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, সরকারিভাবে দীর্ঘ সময় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকাকালে একশ্রেণির দুর্নীতিপরায়নদের যোগসাজশে বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য অবৈধ সংযোগ প্রদান এবং বর্তমানে বৈধ সংযোগের চাপে গ্যাস সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে তারা সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলার আগুন মিটিমিটি করে জ্বলছে। সম্প্রতি সকাল ৬টা থেকেই বিকাল ৪টা পর্যন্ত গ্যাসের চুলায় রান্নাবান্নার কাজ চলে না। কিন্তু সরকার নির্ধারিত বিলের টাকা যথারীতি পরিশোধ করা হচ্ছে। এতে কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার যোগাযোগ করেও কোন মানবিক আচরণ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে গ্যাস চলে গিয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা-৪টার দিকে আসে। এতে ছেলেমেয়েদের না খেয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সকালে না খেয়ে অফিস-আদালতে যাচ্ছেন।
তারা এর দ্রুত সমাধান চান। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এর কোন সমাধান না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করা হবে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।