খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৬: নোয়াখালীতে ভুল করে এক বৃদ্ধার বাম পায়ের পরিবর্তে ডান পায়ে রড স্থাপন করেছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর চালিয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে জেলা মহর মাইজদীর প্রাইম হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ওই রোগী হলেন বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মৃত হাবিব উল্যার ছেলে প্রবাসী আবদুস ছাত্তারের মা ফিরোজা বেগম (৯৫)। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মীর হামিদুর রহমান এ ভুল অপারেশন করেছেন।
এ ঘটনায় রাগীর স্বজনরা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকসহ চারজনকে আহত করেছে। তারা হাসপাতালের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে চিকিৎসকের বিচার দাবিতে মিছিলও করে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে বিনা খরচে চিকিৎসা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বুল চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে সুত্রে জানা যায়। রোগীর ছেলে সৌদি প্রবাসী আবদুস ছাত্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার বৃদ্ধা মা ঘরের খাট থেকে মেঝেতে পড়ে তার বাঁ পা ভেঙে যায়। ডাক্তার ডান পায়ে অপারেশন করে রড স্থাপন করেছে। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রভাবশালীরা রোগীকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। চিকিৎসক ডা. মীর হামিদুর রহমান নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে আবদুস সাত্তার সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসেন। ২৩ নভেম্বর রাত ৮টায় তার বৃদ্ধা মায়ের ডান পায়ে অপারেশন করা হয়। কিন্তু রোগীর সমস্যা মূলত বাম পায়ে। ডাক্তার ভুল করে ডান পা অপারেশন করে রড ঢুকিয়ে ওয়ার্ডে পাঠায়। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করতে স্বজনদের চাপ দেয়।
এদিকে অভিযুক্ত ডা. মীর হামিদুর রহমান ভুল স্বীকার কথা স্বীকার করে জানান, রোগীর বাম পা ভেঙেছে তা আমাকে জানায়নি সহযোগীরা।
প্রাইম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মালিক ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, একজন সিনিয়র চিকিৎসক রোগীর অপারেশনে কেন ভুল করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। হাসপাতালের কক্ষ ভাড়া দেয়া ছাড়া এ বিষয়ে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।