খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৬: পঞ্চগড়ের সম্ভাবনাময় চা শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষুদ্র চা চাষীরা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে জেলা স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশন পঞ্চগড়ের সভাপতি আমিরুল হক খোকন।
এ সময় তারা পঞ্চগড় জেলার সমতল ভূমির এই চা শিল্পকে রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কারখানা ও চায়ের নিলাম বাজার স্থাপন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি চা চাষীদের ভূর্তুকি ও ঋণ প্রদানসহ বিদেশ থেকে চা আমদানী নিরুৎসাহিত করাসহ ৮ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এসোসিয়েশন পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আনিসসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী ও ক্ষুদ্র চা চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পঞ্চগড় জেলার সমতল ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকায় বর্তমানে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণ হয়েছে। বর্তমানে জেলায় ৮ টি টি স্টেট, ১২ টি মাঝারি বাগান ও ২ হাজার ৫০০ জন ক্ষুদ্র চা চাষী রয়েছেন। চা চাষের শুরুর দিকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও বর্তমানে চা চাষীদের উৎপাদিত চা কারখানায় বিক্রি করতে চরম ভোগন্তি পোহাতে হচ্ছে। ২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা চা পাতা কারখানা বিক্রি করতে গেলে কারখানা মালিকরা তাদের সুবিধামতো ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কেজি প্রতি চা পাতা কর্তন করে দাম দিচ্ছেন চাষীদের।
অপর দিকে কারখানা মালিকরা দাবি করেছেন তাদের কারখানার ধারণ ক্ষমতার প্রায় তিনগুণ বেশি চা পাতা আসায় তারা ক্রয় করতে পারছেন না। চলতি মৌসুমে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন কাচা চা পাতা উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এই বিরাট অংকের উৎপাদিত চা পাতার বিপরীতে চা কারখানা রয়েছে মাত্র ৬ টি। এর মধ্যে আবার কিছু কারখানা নিজস্ব টি স্টেট রয়েছে।