Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬:4
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাৎসরিক আয় বিএনপির প্রার্থী এড.সাখাওয়াত হোসেন খানের চেয়ে বেশি। তবে আইভীর আয় বেশি হলেও সম্পদ বেশি সাখাওয়াতের।

আইভীর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪২ লাখ টাকা আর সাখাওয়াত ও তার পরিবারের ৯৭ লাখ টাকার সম্পদ আছে। তবে শুধু সাখাওয়াতের নিজের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭৭ লাখ টাকা।
চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করা আইভী তার শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লিখেছেন ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি)। আর পেশায় আইনজীবী সাখাওয়াত লিখেছেন বিএ, এলএলবি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের হলফনামা থেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নয়জন প্রার্থী। এরমধ্যে মনোনয়নপত্রের সংগে জমা দেয়া হলফনামায় আইভী মেয়র হিসেবে বছরে বেতন পান প্রায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
আর সাখাওয়াতের আয় প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আইভীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা নেই বা ছিল না। কিন্তু সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।
আর একটি মামলা বিচারাধীন এবং একটির তদন্ত চলছে। তবে তাদের দুই প্রার্থীর কারোরই ঋণ নেই। উল্টো পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছেন আইভী।
হলফনামায় আইভীর সম্পদ:
অস্থাবর : নগদ টাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ টাকা। স্বর্ণ ও অন্য অলংকার ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ টাকার। আসবাব ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার।
স্থাবর : যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষিজমির ৮ ভাগের ১ ভাগের মালিক।
হলফনামায় সাখাওয়াতের সম্পদ:
অস্থাবর : নিজের নামে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ২২৯ টাকা। ব্যাংকে স্ত্রীর নামে ৫ হাজার ২৪৯ টাকা, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকা। নিজের নামে একটি মাইক্রোবাস (টয়োটা নোয়া), দাম ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৭ টাকা। নিজের নামে স্বর্ণালংকার রয়েছে আড়াই লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৪০ ভরি সোনা (দুই লাখ টাকা)। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা, আসবাব ৫০ হাজার টাকা, ব্যবসায় মূলধন ২৪ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
স্থাবর : নিজের নামে ১৪ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে প্রায় তিন লাখ টাকার স্থাবর অকৃষিজমি আছে।