খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬:
কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুর পর রাস্তায় নেমে এসে আনন্দ করেন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বসবাসকারী কিউবা-আমেরিকান বাসিন্দারা। ছবি : সিএনএন
কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো আর নেই। গত শুক্রবার ৯০ বছর বয়সে কিউবার রাজধানী হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। তেমনি রীতিমতো আনন্দ-উৎসব করেছেন অনেকেই। এঁদেরই দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য মায়ামির কয়েক হাজার লোক।
কাস্ত্রোর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর পরই রাস্তায় নেমে আসেন মিয়ামিতে বসবাসকারী কিউবান বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাসিন্দারা। তাঁরা ওই সময় কিউবার পতাকা উড়িয়ে আনন্দ করেন।
একজন বাসিন্দা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটি একটি উৎসব। তবে কারো মৃত্যুর জন্য এ উৎসব নয়। বরং এটি স্বাধীনতার উৎসব, যার জন্য আমরা অনেক বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আশা এটাই, এর ফলে কিউবা আরো কিছুটা উন্মোচিত হবে।’
ওই সময় আরো একজন বলেন, ‘এটি কিউবার অধিবাসীদের কাছে অনেক কিছু। আমরা এই মুহূর্তটির জন্য ৫৫ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। শেষ পর্যন্ত আমরা মুক্ত হলাম। যে মানুষটি আমাদের অনেক কষ্ট দিয়েছেন, যার জন্য আমার দেশের অনেক মানুষ দুঃখে আছে, তিনি মারা গেলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সম্পর্ক বরাবরই বৈরী ছিল। সমাজতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে কাছে দেশ পরিচালনা করেছেন ফিদেল কাস্ত্রো। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্য দিয়েও কিউবা এগিয়েছে নিজস্ব গতিতে। নব্বইয়ের শেষ দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও কিউবা সমাজতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। চলতি বছরের জুলাইতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবা ভ্রমণ করেন। ফলে দেশ দুটির মধ্যে পুনরায় একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।